লোহাগড়ায় সড়কের উপর হাটবাজার হাটবারে ভোগান্তি

0
5
লোহাগড়ায় সড়কের উপর হাটবাজার হাটবারে ভোগান্তি
লোহাগড়ায় সড়কের উপর হাটবাজার হাটবারে ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার

লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর- লাহুড়িয়া সড়কের শিয়রবর নামক স্থানে সপ্তাহে দুইদিন রাস্তার উপরে হাট বসানো হচ্ছে। হাট চলাকালে বন্ধ হয়ে যায় উপজেলার উত্তরাঞ্চলের সাথে লোহাগড়া সদরের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী জরুরি পণ্যবাহী যানবাহনসহ যাত্রীবাহী যানবাহনগুলি। অথচ এই স্থানের এক কিলোমিটারের মধ্যেই মধুমতি নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী শিয়রবর হাট।

গত রোববার (৫ সেপ্টেম্বর ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে , জয়পুর- লাহুড়িয়া সড়ক থেকে শিয়রবর হাটে যাওয়ার সংযোগ সড়কের ত্রিমোহনীতে সপ্তাহে দুইদিন হাট বসানো হচ্ছে। প্রতি রোববার ও বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত রাস্তার ওপর অস্থায়ী দোকান বসে। রাস্তার উপর পণ্য পরিমাপের দাঁড়ি-পাল্লা বসিয়ে ধান, পাট ও ভুষিমাল বেচা-কেনা হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমান পাট মৌসুমে পাট বহনকারী ভ্যান, নছিমন ও ঘোড়ার গাড়ি রাস্তার উপর রেখে চলছে এসব পণ্য বেচাকেনা। ফলে দীর্ঘ সময় রাস্তা বন্ধ হয়ে থাকে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই পথে চলাচলকারী জরুরি পণ্যবাহি যানবাহন সহ যাত্রীবাহি সাধারণ যানবাহনগুলি।

এসময় পায়ে হেটে চলাচল করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অথচ দীর্ঘদিন যাবৎ এভাবে হাট বসলেও দেখার কেউ নেই। প্রতি সপ্তাহে দুইদিন রাস্তার উপর হাট বসিয়ে স্থায়ী হাটে পরিণত হলে একসময়ে উচ্ছেদ করা কঠিন হবে। তাদের ওই ভোগান্তিতে পড়তে হবে। ওই পথে নিয়মিত চলাচলকারী লাহড়িয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক রিজাউল করিম বলেন, লোহাগড়া থেকে লাহুড়িয়া যেতে জেএস গাড়িতে সর্বোচ্চ ১ঘন্টা সময় লাগে। অথচ শিয়রবর হাটের দিন ৩ঘন্টা সময় নিয়ে বের হয়েও হাটে এসে আবার গাড়ি পাল্টাতে হয়। ফলে আমার সময় মত মাদ্রাসায় পৌছতে বেশ কষ্ট হয়।

অপরদিকে মাকড়াইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ইশরাত জাহান বলেন, শিয়রবর হাটের দিন আমাদের চরম বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। একদিকে যেমন গাড়ি পরিবর্তন করতে হয়, অন্যদিকে তেমনি রাস্তার ওপর হাটের গাড়ি ও লোকজন ধাক্কাধাক্কি করে পার হতে হয়। শিয়রবর হাটে নিয়মিত বাজারকারী বাতাসী গ্রামের ফরিদুজ্জামান বলেন, শিয়রবর হাট থাকা সত্বেও কিছুলোক রাস্তা বন্ধ করে বেচাকেনা করে এটা মোটেও উচিৎ নয়।

শালনগর ইউপি চেয়ারম্যান তসলুর রহমান জানান, নদীতে হাট ভেঙ্গে যাওয়ার পর রাস্তার ওপর কিছুদিন হাট বসে। বর্তমান হাটের জায়গা তৈরী করা হয়েছে। যারা এখনো রাস্তার ওপর বেচাকেনা করছে তাদের হাটের জাযগায় চলে যাওয়ার জন্য হাট কর্তৃপক্ষকে বলে দেব।