কৃষ্ণচূড়ায় সেজেছে লোহাগড়ার প্রকৃতি

0
12
কৃষ্ণচূড়ায় সেজেছে লোহাগড়ার প্রকৃতি
কৃষ্ণচূড়ায় সেজেছে লোহাগড়ার প্রকৃতি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে লোহাগড়া পৌরসভার শেষ প্রান্তের কালনা-যশোর মহাসড়কে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে কৃষ্ণচূড়া। যেন লাল রঙে কৃষ্ণচূড়ার পসরা সাজিয়ে বসে আছে প্রকৃতি। গ্রীম্মের সেই নিষ্প্রাণ রুক্ষতা ছাপিয়ে প্রকৃতিতে নিজেকে মেলে ধরেছে আপন মহিমায়। ফুলের সৌন্দর্য এঁকে দেয় শিল্পীর নরম তুলি। গ্রীম্মের তীব্র গরম আর অবিরাম উষ্ণতায় যখন সমগ্র দেশ স্থবির ঠিক তখনই জেগে উঠেছে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিমতা।

প্রতিবছর মে-জুন মাসে এমন রূপের দেখা মেলে লোহাগড়া বিভিন্ন প্রান্তে ।এ যেন লাল গালিচায় স্বাদর আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে অতিথিদের। কালনায় মধুমতি সেতুর পার্শ্বে ফুলে ফুলে রঙিন বিশাল কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষটি পথচারীদের বিনোদনের বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। উপজেলার সর্বত্র কম-বেশি বাহারি কৃষ্ণচূড়ার দেখা মেলে। স্নিগ্ধ সকাল, তপ্ত দুপুর কিংবা গৌধূলী বেলায় কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য অবলোকন করে পথচারীরা। স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ সাজিয়ে নিয়েছে কৃষ্ণচূড়ায়।উপজেলায় কি পরিমাণ কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ রয়েছে তার সঠিক কোনো তথ্য, উপাত্ত না থাকলেও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, অতীতে গ্রাম-গঞ্জে হাজার হাজার কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ থাকলেও সময় গড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা এখন অনেকটায় কমে গেছে।
বৃক্ষপ্রেমী লোহাগড়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ কাজী ইবনে হাসান বলেন, অবসরে ঘুরাফেরা শেষে মনের ক্লান্তিদূর করতে কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে আশ্রয় নিই। বাচ্চারা লালে-লাল ফুলগুলো নিয়ে খেলা করে মনের আনন্দে মেতে উঠে, যা সত্যি উপভোগ্য।তিনি বলেন, দুঃখ হলেও সত্য যে, প্রকৃতির সৌন্দর্যমন্ডিত এ গাছগুলো অবাধে কাটা হলেও বৃক্ষরোপণের তালিকায় তেমন একটা স্থান পাচ্ছে না। গ্রামগঞ্জ ও পৌর এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধিকল্পে কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো সংরক্ষণ ও বনায়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া দরকার। পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস ভূইয়া জানান, কৃষ্ণচূড়া একসময় পৌর এলাকাকে রাঙিয়ে তুলত। ঝড়ে পড়া ফুলগুলো পাকা সড়কে এমনভাবে পড়ে থাকত যেন কেউ পৌরবাসীকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিচ্ছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় কৃষ্ণচূড়ার ঐতিহ্য ও জৌলুস আর নেই।