নড়াইলে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু ও নারীসহ আহত ১৫

0
134

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল সদরের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু ও নারী সহ ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। রবিবার (৭ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

কুকুরের কামড়ে আহতরা হলো যদুনাথপুর গ্রামের জাকির হোসেনের স্ত্রী রেকসোনা (৩০), দৌলতপুর গ্রামের দ্বীন মোহাম্মদের স্ত্রী হেনা বেগম (৫৫), দৌলতপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে শরিফুল (৩৫), যদুনাথপুর গ্রামের মিন্টু দাসের ছেলে সাগর দাস (১৩), কালনা গ্রামের মনির শেখের ছেলে মাসুম (৯), রহমতপুর গ্রামের আক্কাস আলীর মেয়ে আখি (১৭), কালাম মিয়ার ছেলে মেহেদী (১৩), আউড়িয়া গ্রামের ইমদাদুলের ছেলে আকাশ (১০, আউড়িয়া গ্রামের খায়রুল ইসলামের ছেলে তানভির (৮), ফুলশ্বর গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে ইয়াসিন (৫), ফুলশ্বর গ্রামের তারাপদ গাছীর ছেলে সন্দীপ (৪)সহ অন্যান্যারা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।

বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের যদুনাথপুর গ্রামের রোকসানা বেগম (৩০)বলেন, সকাল ৮টার দিকে দেখি ওই কুকুরটি আমাদের ঘরের বারান্দায় শুয়ে আছে। আমি রান্না করার জন্য পাশের ঘরে জ্বালানি আনতে গেলে কুকুরটি উঠে এসে আমাকে কামড় দেয়। এসময় আমি চিৎকার করতে থাকি। কামড় দেয়ার পর কুকুরটি চলে যায়।

বল্লারটোপ আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী আখি খানম বলেন, আমি বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়ার জন্য কলেজের দিকে যাচ্ছিলাম। শম্ভুডাঙ্গা গ্রামের মধ্যদিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে কুকুরটি এসে কামড় দেয়। এসময় আমি ভয়ে চিৎকার করতে থাকি। আশেপাশের লোকজন আসার আগেই কুকুরটি দৌড়ে চলে যায়।

ফুলশ্বর গ্রামের তারাপদ গাছী বলেন, আমার সাড়ে তিন বছর বয়সী সন্তান সন্দীপকে ঘরের বারান্দায় একে কুকুরে কামড়িয়েছে। মাতৃহীন আমার এই সন্তানটিকে নিয়ে এখন হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু হাসপাতালে ভীড় এতো বেশি যে, ডাক্তার দেখানোর সুযোগই পাচ্ছি না। নড়াইল সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক রোখসানা বিনতে আকবর বলেন, ‘সকাল থেকে পর্যায়ক্রমে কুকুরে কামড়ানোর রোগী এসেছে। আমরা যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দিয়েছি’।