নড়াইলে এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে বসত বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ

0
82
নড়াইলে এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে বসত বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ
নড়াইলে এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে বসত বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল শহরে রাতের আঁধারে এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অন্যের বসতঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়ির ভাড়াটিয়াদের উপস্থিতিতেই একটি ঘরের পশ্চিম ও উত্তর পাশের দেয়াল ও জানালা ভেঙ্গে অভিযুক্ত ওই প্রকৌশলী। নিজের বাড়ি থেকে বের হয়ে পৌরসভার সড়কে আসার রাস্তা না থাকায় অন্যের বাড়ি ভাংচুর করেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। পরে স্থানীয়দের বাঁধার মুখে এবং সদর থানা পুলিশ আসলে বাড়ি ভাঙ্গা বন্ধ করে পালিয়ে যায় প্রকৌশলী মোঃ মুসা মিয়া।

জানা গেছে, নড়াইল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর কুড়িগ্রাম এলাকার বাসিন্দা প্রকৌশলী মোঃ মুসা মিয়া নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে পৌরসভার সড়কে আসার রাস্তা না থাকায় প্রয়াত চিকিৎসক আব্দুল কাদের জসিমের স্ত্রী শিক্ষক শামীমা ইয়াসমিনের বিরোধপূর্ণ জায়গা তাদের বলে দাবি করে আসছিল এবং বিভিন্ন সময় এলাকার বখাটে ও মাস্তান নিয়ে ওই জায়গা দখলের পায়তারা করছিল। ফলে ওই শিক্ষিকা বাদি হয়ে নড়াইল সদরের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি নিষেধাজ্ঞা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে শনিবার রাতে ওই জায়গার উপর বসবাসকারী মোঃ হারুন মিয়ার বাড়ি ভাংচুর করে পথ বের করার চেষ্টা করে।

ব্যবসায়ী হারুনের স্ত্রী জায়েদা বেগম জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে প্রতিবেশী প্রকৌশলী মোঃ মুসা মিয়া,তার ভাই বাবু ও এক শ্রমিককে নিয়ে হটাৎ করে বসবাসরত টিনসেডের একটি বসত ঘর ভাঙ্গা শুরু করে। তারা ঘরের পশ্চিম ও উত্তর পাশের দেয়াল ও একটি জানালা ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় আমরা পাশের ঘরে ছিলাম। ঘরটি ভেঙ্গে ফেলায় আমার ঘরের কিছু আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমি ভয়ে কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি। পরে কয়েক প্রতিবেশী এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করলে তারা চলে যায়।
এ বিষয়ে ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরফুল আলম লিটু জানান, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে যাই এবং এর সত্যতা পাই। ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে বাড়ির মালিক স্ত্রী শিক্ষক শামীমা ইয়াসমিন জানান, আমি মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে স্থানীয় কয়েকজন এ ঘটনা জানালে বিষয়টি নড়াইল পৌর মেয়র আনঞ্জুমান আরা এবং নড়াইল সদর থানা পুলিশকে অবহিত করি। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি এবং এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রকৌশলী মুসা মিয়াকে (০১৭১৪-০৭০৭১৫) ফোন করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন কারা ভেঙ্গে তা জানিনা। তবে ভাঙ্গা দেখেছি।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছে। ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে কুড়িগ্রাম এলাকার মুন্সী ওয়ালিউর রহমানের পূত্র ইব্রাহীম বাবুকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।