পর্দা কাঁপাতে আসছে টারান্টিনো, ব্রাড পিট ও ক্যাপ্রিওর “ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন হলিউড”

24
21

বিনোদন/এমএসএ

এবছরের ২৬ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আমেরিকান চলচ্চিত্র
“ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন হলিউড”। ব্লাক কমেডি ক্রাইম নির্ভর ছবিটি একইসাথে লিখেছেন ও নির্মাণ করেছেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা কুয়েন্টিন টারান্টিনো। ১৯৬৯ সালে হলিউডে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে উপস্থিত হন টিভি অভিনেতা রিক ডাল্টন ও তার স্ট্যান্ট ডাবল ক্লিফ বুথ। নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে দুজন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রীতিমতো উঠে পড়ে লাগেন। এদের গল্প নিয়েই এগোতে থাকবে টারান্টিনোর “হলিউড” এর গল্প। রিক ডাল্টনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অস্কার বিজেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। ডাল্টনের কাছের বন্ধু ক্লিফ বুথের চরিত্রে রয়েছেন চিরসবুজ ব্রাড পিট৷ রবার্ট রেডফোর্ড ও পল নিউম্যানের পর লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ও ব্র্যাড পিটকে সবচেয়ে শক্তিশালী জুটি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন পরিচালক টেরান্টিনো। সিনেমায় রোমান পোলানস্কির স্ত্রী শ্যারন টেইট চরিত্রে অভিনয় করেছেন মার্গট রোবি। এছাড়া রিক ডাল্টনের এজেন্ট মারভিন শওয়ার্জ ভূমিকায় রয়েছেন গড ফাদার খ্যাত আল পাচিনো।

“ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন হলিউড” সিনেমায় রয়েছে ৭০-৮০’র দশকের একাধিক আমেরিকান অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালক, প্রযোজক, কলাকুশলীদের সমাগম। অনেক গল্পের সমন্বয়ে নির্মিত হয়েছে “হলিউড”। সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখতে টারান্টিনোর ৫ বছর সময় লেগেছে। এটি এখন পোস্ট প্রডাকশনে রয়েছে। “ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন হলিউড”কে টারান্টিনো তার নবম সিনেমা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে দশম সিনেমার মধ্য দিয়ে নিজের পরিচালনা জীবনের ইতি টানার কথা বলেছিলেন টারান্টিনো।

এপর্যন্ত সবমিলিয়ে ১৭৭টি নমিনেশনের মধ্যে ১৩৭টিতে জিতেছেন কুয়েন্টিন। “পাল্প ফিকশন” ও “জ্যাঙ্গো আনচেইনড” সিনেমার জন্য অস্কারে দুই বার সেরা চিত্রনাট্যে বিজয়ী হয়েছেন। পরিচালক টারান্টিনোর উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে- “রেজেরভয়ার ডগস” (১৯৯২), “পাল্প ফিকশন” (১৯৯৪), “জ্যাকি ব্রাউন” (১৯৯৭), “কিল বিলঃ ভলিউম ওয়ান” (২০০৩), “কিল বিলঃ ভল ২” (২০০৪), “ইনগ্লোরিয়াস বাস্টার্ডস” (২০০৯), “জ্যাঙ্গো উনচেইন্ড” (২০০৮), “দ্যা হেটফুল এইট” (২০১৫)। দীর্ঘ ৪ বছর পর আবার তার পরিচালিত সিনেমা উপভোগ করবে দর্শক। গত ২০শে মার্চ তার “ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন হলিউড” এর টিজার ট্রেইলার রিলিজ হলে ব্রাড ও ক্যাপ্রিওকে একসাথে একনজর দেখার জন্য উৎসুক দর্শকেরা ইউটিউবে ভীড় জমান। টিজার উপভোগের পর সিনেমাটির সাফল্য নিয়ে অনেকেই আশা প্রকাশ করেছেন।