পিআইও’র কাছে চাইলেন তথ্য, দিলেন ঘুষ, ভাইরাল ভিডিও

0
23
ঘুষ
ঘুষ

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের তালিকা চাওয়াতে সাংবাদিকদের ঘুষ দিয়ে ম্যানেজের চেষ্টা করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ সোহেল রানা পাপ্পু। বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে- তথ্য চাইতে আসা স্থানীয় সাংবাদিক খাইরুল ইসলাম আল আমিনকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে টাকা হাতে নিয়ে ম্যানেজ করতে আসেন পিআইও অফিসের পিয়ন জয়নাল আবেদীন। এসময় জয়নাল আবেদীন সাংবাদিককে বলেন, স্যার আপনাদের জন্য ৫ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন আপনারা এ টাকা গ্রহন করুন। সাংবাদিক তখন টাকা ফিরিয়ে দিয়ে বলেন- আমরা তথ্য নিতে এসেছি টাকা নয়।

সাংবাদিক খাইরুল ইসলাম আল আমিন বলেন- ‘গৌরীপুর উপজেলায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য জানতে নির্ধারিত ফরমে আবেদন নিয়ে বুধবার বিকেলে আমি ও সাংবাদিক উবায়দুল্লাহ রুমি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানার অফিসে যাই। এসময় তিনি তাদের আবেদন গ্রহন না করে নিচতলার কক্ষে যেতে বলেন। নিচতলার সেই কক্ষে টেবিলে বসে থাকা জয়নাল আবেদীনের কাছে আবেদন জমা দিতে চাইলে তিনি বলেন-স্যারের অনুমতি ছাড়া আবেদন গ্রহন করা যাবেনা। এরপর ওই কক্ষ থেকে বেরিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থানকালে জয়নাল আবেদীন এসে ৫ হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলেন, স্যার এ টাকা গ্রহন করতে বলেছেন। তাৎক্ষণিক এ টাকা ফিরিয়ে আমি জয়নালকে বলি, আমরা তথ্য নিতে এসেছি টাকা নয়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা বলেন- উল্লেখিত দুই সাংবাদিক তথ্য জানতে আবেদন নিয়ে এসেছিলেন আমার কাছে। এসময় রিসিভ কপিতে স্বাক্ষর না করায় তারা আবেদন জমা না দিয়ে চলে যান। চলে যাওয়ার সময় তারা অফিসের পিয়নের কাছে নাস্তার জন্য টাকা চেয়েছিল। তাই পিয়ন জয়নাল আবেদীন তাদেরকে কিছু টাকা দিয়েছিল। সাংবাদিকরা সেই টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে সাংবাদিকদের দেয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রানার বক্তব্যটি মিথ্যা ও বানোয়াট উল্লেখ করে সাংবাদিক উবায়দুল্লাহ রুমি জানান- তথ্য অধিকার আইনে আবেদন জমা দেয়ার দৃশ্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এখানে কি ঘটেছে পরিস্কারভাবে মানুষ দেখেছে। তিনি আরও বলেন- উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরাসরি আবেদন গ্রহন না করায় তথ্য জানতে ডাকযোগে রেজিস্ট্রি করে আবেদন পাঠিয়েছেন তারা।