মুজিববর্ষের সেরা উপহার

0
15
সাদিয়া ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

সাদিয়া ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নড়াইল

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণের। শোষণ-বঞ্চনাহীন বাংলার সকল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংবিধানে নাগরিকের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিতকরণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সকল নাগরিকের বাসস্থান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরুর নির্দেশনা দেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনরায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের কার্যক্রম শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মুজিব শতবর্ষে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীনকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গৃহ প্রদানের উদ্যোগে গ্রহণ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন, নড়াইল সদর, নড়াইল এর কর্মতৎপরতার বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে ‘মুজিববর্ষের সেরা উপহার’ শীর্ষক সংকলনে।

উপজেলা প্রশাসন, নড়াইল সদর, নড়াইল এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ প্রদানের লক্ষ্যে নড়াইল সদর উপজেলার উপজেলা কমিটি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে সামগ্রিকভাবে ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় দরিদ্র পরিবারের তালিকা প্রণয়ন, যাচাই বাছাই ও খাস জমির সংস্থান কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করা হচ্ছে। অনুমোদিত নকশা ও প্রাক্কলন অনুযায়ী টেকসই এ গৃহসমূহ নির্মাণ করা হচ্ছে এবং নির্মাণ কাজে উপকারভোগী পরিবারের সদস্যদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। নড়াইল সদর উপজেলায় ইতোমধ্যে ১৫১টি গৃহ নির্মিত হয়েছে এবং আরও গৃহ নির্মাণের জন্য খাস জমির সংস্থান করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে নড়াইল সদর উপজেলার ‘ক’ শ্রেণি তালিকাভুক্ত ৬০৫টি পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হবে। উপকারভোগী পরিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ অন্যন্য উদ্যোগের সুফল পাচ্ছে। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের এ সকল কার্যক্রম সুচারু ও সুবিন্যস্তভাবে সংকলন করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষের সেরা উপহার’ সংকলনে। খাস জমির সংস্থান, গৃহ নির্মাণ, পরিদর্শন ও জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়ন কার্যক্রম স্থির চিত্র ও পরিসংখ্যানের মাধ্যমে উক্ত সংকলনে তুলে ধরা হয়েছে।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে উন্নয়নশীল বাংলাদেশে গৃহহীনদের ঘর প্রদান নিঃসন্দেহে অনন্য সাধারণ মহৎ উদ্যোগ। এতে গৃহহীনরা পাবে সামাজিক স্বীকৃতি এবং উন্নয়নের মূল স্রোতে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। বাসস্থান সংস্থানের মাধ্যমে সকল নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং দক্ষ ও যোগ্য জনগণকে কর্মে নিয়োগের মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিশ্চিতকরণ করা সম্ভব। বিশ্বের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুজিব শতবর্ষকে সামনে রেখে সব গৃহহীন মানুষকে আবাসন সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে মানবতার এক নজির সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্নকে সামনে রেখে ‘রূপকল্প-২০২১’ ও ‘রূপকল্প-২০৪১’ এবং ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০’ অর্জনে এ উদ্যোগ অত্যান্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। এ মহতী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।