কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটির জরাজীর্ণ দশা

0
7
কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটির জরাজীর্ণ দশা
কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটির জরাজীর্ণ দশা

স্টাফ রিপোর্টার

৪ লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র সরকারি চিকিৎসালয় নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থা হয়ে পড়েছে। ভবনটির দেওয়াল ও পিলারে বড় ধরনের ফাঁটল দেখা দিয়েছে। খষে পড়ছে ছাদের অংশ ও দেওয়ালের পলেষ্টারা। বিভিন্ন স্থানে ধরা ফাঁটল যে কোন সময় ঝরে পড়ে মারাত্মক দূর্ঘটনার আশংকা প্রকাশ করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা. কাজল মল্লিক। যা চিকিৎসা সেবা নিতে আসা মানুষসহ কর্মকর্তা কর্মচারিদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অফিস সুত্রে জানা যায়, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭৮ সালে ৩১ শয্যার বিশিষ্ট হাসপাতালটি স্থাপিত হয় ৫ একর জমির ওপর। প্রতিষ্ঠাকালে নির্মিত হয় দ্বিতল মূল ভবনটি। পরবর্তী কালে ২০০৯ একটিকে ৫০ শয্যায় রুপান্তরিত করা হয়েছে। পুরাতন এই ভবনটি মেরামতও করা হয়েছে কয়েক বার। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রায় ২/৩ বছর আগে ভবনের নীচ তলায় ফাঁটল দেখা দিয়েছে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর যশোরের প্রকৌশলীরা পরিদর্শন করে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একধিক বার জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির মুল ভবনের নীচ তলার বিভিন্ন স্থানের কয়টি পিলার ও দেওয়ালের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে বড় ধরনের ফাঁটল। কয়েক জায়গায় ছাঁদের পলেস্তারার অংশ খসে পড়ে বেরিয়ে পড়েছে রড। ফাঁটলগুলো সম্প্রতি বড় আকার ধারন করেছে। বর্তমানে আরও নতুন ফাঁটল ধরতে শুরু করেছে। য কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। অপর দিকে পুরো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জুড়েই দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ে রোগীর ওয়ার্ড গুলোকে অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর করে তুলছে।

জনৈক এক রোগীর স্বজন মো.হুমায়ুন মোল্যা যুগান্তরকে বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও জীবন বাঁচাতে এক প্রকার দায় পড়েই জীবনের ঝুকি নিতে হচ্ছে গ্রামের ভূক্তভোগী মানুষকে। সমস্যাটির দ্রুত সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. কাজল মল্লিক বলেন, হাসপাতালের ভবনটি দীর্ঘদিন আগেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। অনেক আগেই ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারিরাসহ রোগীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। বিষয়টিতে নড়াইলের সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুতোশ কর্মকার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি অপসারণসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।