নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবকের দানকৃত রক্ত বিক্রির অভিযোগ

0
9
নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবকের দানকৃত রক্ত বিক্রির অভিযোগ
নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবকের দানকৃত রক্ত বিক্রির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলে রোগির জন্য সেচ্ছাসেবকদের দানকৃত রক্ত বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। নড়াইলের কয়েকটি সেচ্ছাসেবী রক্তদানকারী সংগঠন রক্ত বিক্রির অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) নড়াইল ফ্যামিলী কেয়ার হাসপাতালের সামনে এ মানববন্ধন করে। এ সময় বক্তব্য দেন সেচ্ছাসেবী ব্লাড সংগঠন উদ্বিপ্ত তরুণের সাধারন সম্পাদক রক্তযোদ্ধা নাসিম সিকদার রাজ, নড়াইল জেলা ব্লাড ব্যাংক এর সভাপতি মাহামুদুল হাসান, মানবিক নড়াইলের সেচ্ছাসেবক সাব্বির আহমেদ, হায়দার আপন, সাংবাদিক সাথী তালুকদার প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগে বলেন, নড়াইলের সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগিদের সেচ্ছায় রক্তদান করে আসছেন।

কিন্তু সম্প্রতি তারা জানতে পেরেছেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের অসাধু ম্যানেজার ও তাদের সাথে যুক্ত একটি দালাল চক্র এসব সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে কৌশলে ব্লাড নিয়ে রোগির আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ নিচ্ছেন। নড়াইল শহরের ফ্যামেলী কেয়ারে ভর্তি হওয়া এক মহিলা রোগিকে এক ডোনার ফ্রি ও-নেভেটিভ ১ ব্যাগ ব্লাড দিলেও শহরের ভওয়াখালী এলাকার ইলিয়াস হোসেন ইলু নামে এক দালাল বৃহস্পতিবার (১৭মার্চ) ৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি নড়াইলে একটি দালাল চক্র গড়ে উঠেছে, যারা এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সাথে জড়িত নার্স,কর্মকর্তা-কর্মচারির মাধ্যমে মুমূর্ষু রোগিদের নিন্মমানের ব্লাড দিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংক হাতিয়ে নিচ্ছে।

তারা দুঃখ করে আরও বলেন, কোন মূমুর্ষ রোগীর রক্তের প্রয়োজনে আমরা স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলায় বিনামূল্যে রক্ত দান করি মানবিক কারনে। আর আমাদের দানকৃত রক্তের বিনিময়ে বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিকের মালিকরা গরীব রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়,এর চেয়ে নিকৃষ্ট ও ঘৃণিত কাজ হতে পারে না।

ফ্যামেলি কেয়ারের ম্যানেজার পল্লব দাস জানান, আমাদের ক্লিনিকে ভর্তি হওয়া এক রোগির জরুরি প্রয়োজনে এক ব্যাগ ও-নেভেটিভ রক্তের প্রয়োজন হওয়ায় রোগির অভিভাবকরা আমার কাছে আসে। তখন আমি উপায় না পেয়ে এক পর্যায়ে ব্লাড কেনা-বেঁচার সাথে জড়িত শহরের ভওয়াখালী এলাকার ইলু নামে এক ব্যক্তির ফোন নম্বর দেই। তখন তারা ইলুর মাধ্যমে ব্লাড সংগ্রহ করে। এর বাইরে আমি আর কিছু জানিনা। তবে শুনেছি রোগির আত্মীয়রা ইলুকে ৬ হাজার টাকা দিয়েছে। আমি কোন আর্থিক লেনদেনের সাথে যুক্ত নই।

এ ব্যাপারে নড়াইল জেলা ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক এসোসিয়েশনের সভাপতি বিদ্যুৎ সান্নাল এবং সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে সমিতির পক্ষ থেকে তারা ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। রক্ত নিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যাবসা করলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ সমিতি থেকে স্থগিত করা হবে জানান।