নড়াইলে রমজানে টিসিবি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও সাধারণ গ্রাহকরা সেবা পাচ্ছেন না

4
15
নড়াইলে অগ্নিকান্ডে

শামীমূল ইসলাম

নড়াইলের অধিকাংশ মানুষ টিসিবি পণ্যের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সদর উপজেলায় ১০জন ডিলারের মধ্যে মাত্র ১জনের টিসিবি (ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) পণ্য উত্তোলন করেছে। করোনা প্রভাবে খুচরা বাজারে বিভিন্ন পণ্য চড়া মূল্যে বিক্রি হওয়ায় টিসিবি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও তালিকাভূক্ত ডিলাররা পণ্য উত্তোলন না করায় সাধারণ গ্রাহকরা প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছেন না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনা প্রভাব এবং পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু ভোজ্য পণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে এবং সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ১৮মার্চ থেকে নড়াইলে টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। এক কেজি টিসিবি-এর ছোলা ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৫৫ টাকা, চিনি ৫৫টাকা, পেঁয়াজ ২০ টাকা, খেজুর ৮০ টাকা এবং এক লিটার সয়াবিন তেল ১শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেখানে খুচরা বাজারে এক কেজি ছোলা ৬৫ টাকা, মসুর ডাল ৭০ টাকা, চিনি ৬৮টাকা এবং ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১শ৩৯শ টাকা, খেজুর ১২০, পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে টিসিবি পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে।

বর্তমানে জেলায় মোট টিসিবির ৩১ জন সাধারণ এবং ভ্রাম্যমান (ট্রাকে বিক্রি) ডিলার থাকলেও সদরে ১০জনের মধ্যে ১জন, লোহাগড়ায় ১৪ জনের মধ্যে ৮জন এবং কালিয়ায় ৭জনের মধ্যে ৫জন পণ্য তুলেছেন।

সদর উপজেলায় টিসিবি পণ্য উত্তোলনকারী একমাত্র ভ্রাম্যমান ডিলার হাফেজা এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী সিঙ্গাশোলপুর বাজারের বেনজির আহম্মেদ বুলু বলেন, টিসিবি খুলনা থেকে প্রতি চালানে ১২শ লিটার তেল, ছোলা ১ হাজার কেজি, চিনি ৭শ কেজি,ডাল ৩শ কেজি এবং খেজুর ১শ কেজি পণ্য তুলছি। বাজারে এসব পণ্যের চাহিদা থাকায় পণ্য ফুরিয়ে গেলে পূনরায় এসব মালামাল এনে বিক্রি করছি। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় টিসিবি পণ্য বিক্রি করছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নড়াইল শহরের এক ভোত্তা বলেন, করোনার প্রভাব এবং পবিত্র রমজান মাসে আমাদের মালামাল কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে। টিসিবির ডিলাররা সবাই পণ্য উত্তোলন করলে আমরা মধ্যবিত্ত এবং নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ অনায়াসে সরকারি সুবিধার এসব পণ্য কিনতে পারতাম। বিষয়টি প্রশাসনের দেখা উচিত।

টিসিবি খুলনা বিভাগীয় প্রধান মোঃ আনিচুর রহমান বলেন, জেলায় ৩১জন ডিলারের মধ্যে পণ্য তুলছেন ১৪জন। যেসব ডিলার টিসিবি পণ্য তুলছেন না এবং ডিলারসিপ নবায়ন করেননি রমজানের পর তাদের ব্যাপারে হেড অফিসে জানানো হবে। হেড অফিসের সুপারিশ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, যাতে প্রত্যেক ডিলার টিসিবি পণ্য উত্তোলন করেন সেটা আমরা চেষ্টা করবো।