ছিল প্রদীপের পরিকল্পনা! মেজর সিনহা হত্যার আদ্যোপান্ত 

3
4
৭ আইনজীবী এনেও জামিন হয়নি প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দদুলালের
প্রয়া'ত মেজর সিনহা ও ওসি প্রদীপ

নিউজ ডেস্ক

থ্রিলার সিনেমাকেও হার মানায় সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেওয়া মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা কাহিনী। আদালতে সেই ঘটনারই নিষ্পত্তি হতে যাচ্ছে আজ। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার স্বপ্ন ছিল তথ্যচিত্রের মাধ্যমে রূপসী বাংলাকে তুলে ধরবেন দেশবাসীর কাছে। ট্র্যাজেডি হলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকতে সূর্যাস্তের ভিডিও ধারণ শেষে পুলিশের গুলিতে নিভে গেল তার জীবন প্রদীপ। কিন্তু কেন? র‌্যাবের অভিযোগপত্রে উঠে এসেছে তার আদ্যোপান্ত।

৩ জুলাই ২০২০। তিন সহযোগীসহ কক্সবাজার আসেন অবসরপ্রনাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান, শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম রিফাত। কক্সবাজারের কলাতলীতে ওয়াল্ড বিচ রিসোর্টে ওঠেন তারা। উদ্দেশ্য জাস্ট গো নামের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভ্রমণ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করা।

চারদিন পর ৭ জুলাই কাজের স্বার্থে হিমছড়ির নিলীমা রিসোর্টের ডি-১ কটেজে ওঠেন তারা। তথ্য সংগ্রহ আর ভিডিও চিত্র ধারণের জন্য যান টেকনাফে। এ সময় সিনহা ও তার টিমের কাছে মাদক নির্মূলের নামে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসের অত্যাচার নিপীড়নের বর্ণনা দেন ভুক্তভোগী অনেক পরিবার। এ সম্পর্কে ওসি প্রদীপের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন সিনহা ও তার সঙ্গীরা।

র‌্যাবের দেওয়া অভিযোগপত্রের ১২ পৃষ্ঠা থেকে জানা যায়, ‘ওসি প্রদীপ তাদেরকে এই কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য হুমকি দেন। তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। বলেন, তিনি মেজর-টেজর ধার ধারেন না।’

এরইমধ্যে সিনহার বিষয়টি বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে জানান ওসি প্রদীপ। বৈঠক করেন ইন্সপেক্টর লিয়াকত, তিন সোর্স মো. নুরুল আমিন, আইয়াছ উদ্দিন ও নিজাম উদ্দিনের সঙ্গেও।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, এরপর প্রদীপ কুমার দাশ সিভিল পোশাকে পুলিশ পাঠিয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান এবং তার দলের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন। জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সিনহা ও তার দলকে খুঁজে বের করতে লিয়াকতকে তাড়া দেন ওসি প্রদীপ। বলেন, ‘তা না হলে লিয়াকতের বড় ধরনের ক্ষতি করবে তারা।’ এই ঘটনাকে গুরুত্ব না দিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন মেজর সিনহা।

৩১ জুলাই বিকেল সাড়ে তিনটা। ব্যক্তিগত গাড়িটি চালাচ্ছেন সিনহা নিজেই। সঙ্গী সাহেদুল ইসলাম সিফাত। গন্তব্য টেকনাফ থানার মারিশ বুনিয়া মুইন্ন্যা পাহাড়ের চূড়া। উদ্দেশ্য প্রতিদিনের মতো ভিডিও করা।

অভিযোগপত্রের ১৩ পৃষ্ঠা থেকে জানা যায়, ‘ইতোমধ্যে পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন এবং আইয়াছ লোক মারফত জানতে পারে মুইন্না পাহাড়ে দুজন লোক উঠেছে ভিডিও ধারণের জন্য। তারা আরও জানতে পারে, তাদের একজন সেনাবাহিনীর মতো পোশাক পরিহিত এবং তাদের সাথে ক্যামেরা আছে। এতে তারা বুঝতে পারে যে, এরাই সেই ভিডিওধারণকারী দল যাদের খুঁজে বের করার জন্য ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলী তাদেরকে নিয়োগ করেছে।’

ওইদিন রাত আটটায় মেজর সিনহাকে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলতে ফাঁদ পাতা হয় বলে র‌্যাবের অভিযোগপত্রে জানানো হয়।

বলা হয়, ‘মাথাভাঙ্গা মসজিদে জমায়েতকৃত লোক দিয়ে কিছু করতে না পারায় রাত ৮টার পর উল্লিখিত আসামি নুরুল আমিন, নাজিম উদ্দিন ও আইয়াছ মাথাভাঙ্গা মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. জহিরুল ইসলামের মাধ্যমে ডাকাত বলে ঘোষণা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মাথাভাঙ্গা জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. জহিরুল ইসলাম উপস্থিত জড়ো হওয়া লোকজনদেরকে বলেন যে, উক্ত ব্যক্তি অর্থাৎ অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান পিএসসি ডাকাত নয় আর্মির লোক। তার সাথে মেজর সাহেবের পাহাড়ে উঠার পূর্বে দেখা হয়েছে এবং সালাম বিনিময় হয়েছে। এই কথা বলায় লোকজন চলে যায়।’

এর কিছুক্ষণ পর পাহাড় থেকে পুলিশের ওই তিন সোর্সের সামনে দিয়ে নেমে আসেন মেজর সিনহা ও সিফাত। এ সময় তারা, সিনহা ও সিফাতের মুখের ওপর টর্চ লাইটের আলো ফেলে নিশ্চিত হয় এই সেই ভিডিও দল। নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও আইয়াজ সিনহাকে অনুসরণ করে মেরিন ড্রাইভ পর্যন্ত আসে এবং তারা কোন দিকে যাচ্ছেন তা নিশ্চিত হন।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ‘মেজর সিনহা রাশেদ খান পিএসসি নিজস্ব প্রাইভেটকার চালিয়ে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছে এই তথ্যটি আসামি নুরুল আমিন ৮টা ৪৭ মিনিটে আইসি মো. লিয়াকত আলীকে মোবাইল ফোনে জানায়। এছাড়াও ৮টা ৪৭ মিনিট থেকে ১১টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে নুরুল আমিন ও আইসি লিয়াকত আলীর মধ্যে ১৪ থেকে ১৫ বার মোবাইলে কথোপকথন হয়।’

সোর্স নুরুল আমিনের ফোনকল পেয়ে ইন্সপেক্টর মো. লিয়াকত আলী ছোটেন শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে। অস্ত্রসহ অবস্থান নেন লিয়াকত। অপেক্ষা করতে থাকেন সিনহার গাড়ির জন্য।

রাত ৯ টা ২০ মিনিট। বিজিবি চেকপোস্ট অতিক্রম করে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার গাড়ি। পাঁচ মিনিটেই গাড়িটি পৌঁছে শামলাপুর চেকপোস্টে। পরিচয় জেনে কন্সটেবল রাজীব ও অন্য দুই এপিবিএন সদস্য স্যালুট দিয়ে গাড়িটি চলে যাওয়ার সংকেত দেন।

সংকেত পেয়ে গাড়িটি এগোতেই ওই গাড়ির সামনে চলে আসেন ইন্সপেক্টর লিয়াকত। রাস্তা ব্লক করতে লিয়াকতকে সহায়তা করেন এসআই নন্দ দুলালও।

অভিযোগপত্রের ১৩ পৃষ্ঠায় আরও বলা হয়, ‘ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তার পিস্তল তাক করে অত্যন্ত উত্তেজিত হয়ে চিৎকার করে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে গাড়িতে থাকা লোকদের দুই হাত উপরে উঠিয়ে গাড়ি থেকে নামতে বলে। তার এই ধরনের চিৎকারে রাস্তার দুই পাশের লোকজন এবং বাজারগামী লোকজন ঘটনাস্থলে তার কার্যকলাপ দেখার জন্য দাঁড়িয়ে যায়। উল্লেখ্য যে, ঘটনাস্থলটি পুলিশের একটি গুরুত্বপূর্ণ চেকপোস্ট হওয়ায় উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন সোলার দ্বারা আলোকিত স্থান হওয়ায় উক্ত স্থানের সবকিছু আশপাশের মসজিদ, বাজার ও রাস্তায় চলাচলকারী লোকজন পরিষ্কারভাবে দেখতে পায়।’

লিয়াকত আলীর উত্তেজিত অবস্থার মধ্যে দুই হাত উঁচু করে গাড়ি থেকে নেমে আসেন সাহেদুল ইসলাম রিফাত। এরপরই ড্রাইভিং সিটে বসা সিনহা গাড়ি থেকে দুই হাত উঁচু করে নেমে ইংরেজিতে কামডাউন কামডাউন বলে লিয়াকত আলীকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।

অভিযোগপত্রের ১৪ পৃষ্ঠায় বলা হয়, ‘ওই সময় ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী মেজর সিনহার পরিচয় নিশ্চিত জেনে তার কোনো কথা না শুনে এবং তাকে কোনো প্রকার সময় না দিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মতে মেজর সিনহা পিএসসিকে প্রথমে দুই রাউন্ড গুলি করে এবং কয়েক কদম এগিয়ে গিয়ে আরও দুই রাউন্ড গুলি করলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। গুলি করার পর আইসি লিয়াকত আলী সিনহা মো. রাশেদ খান পিএসসি ও সিফাতকে হ্যান্ডকাপ পরানোর নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশে এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত আহত সিনহাকে হ্যান্ডকাপ পরায়। কিন্তু এসআই শাহজাহানের নিকট হ্যান্ডকাপ না থাকায় ইন্সপেক্টর লিয়াকত তাকে গালমন্দ করে এবং রশি এনে বাঁধতে বলে। তখন কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন ইমন পাশের শামলাপুর বাজারের দোকান হতে রশি নিয়ে আসলে লিয়াকত আলীর নির্দেশে এসআই শাহজাহান ও কনস্টেবল রাজিব মিলে রিফাতকে বেঁধে ফেলে।’

ঘটনার পর ৯টা ৩০ মিনিটে ১ মিনিট ১৯ সেকেন্ড এবং ৯টা ৪৫ মিনিটে ১৬ সেকেন্ড লিয়াকতের সঙ্গে কথোপকথন হয় ওসি প্রদীপের। ৯টা ৩৩ মিনিটে আইসি লিয়াকত আলী ঘটনাটি কক্সবাজারের পুলিশ সুপারকে জানান।

১৪ পৃষ্ঠায় আরও বলা হয়, ‘ওই সময় আহত মেজর সিনহা রাশেদ খান পিএসসি ব্যাথায় কাতরাচ্ছিলেন। তখনও তিনি জীবিত এবং সজাগ ছিলেন। তিনি কাকুতি মিনতি করে একটু পানি এবং একটু শ্বাস নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছিলেন। এটা শুনে এবং তাকে তখনও জীবিত দেখে ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী আরও উত্তেজিত হয়ে যান এবং বলে তোকে গুলি করেছি কি পানি খাওয়ানোর জন্য। এই কথা বলে ইন্সপেক্টর লিয়াকত আহত সিনহার নিকটে যায় এবং বুকের বামপাশে জোরে জোরে লাথি মারে এবং পা দিয়ে চেপে ধরে।’

লিয়াকত আলীর সফলতার ফোন পেয়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ একটি সাদা মাইক্রোবাসে এবং তার সাথের ফোর্স একটি পিকআপ ভ্যানে চড়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তখন রাত ১০টা।

অভিযোগপত্রের ১৪ পৃষ্ঠায় ওসি প্রদীপের দম্ভোক্তি তুলে ধরে বলা হয়, ‘অত:পর ওসি প্রদীপ কুমার দাশ গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে থাকা অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান পিএসসির নিকট যান। তখন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ দম্ভোক্তি করে বলেন, অনেক টার্গেট করার পর কুত্তার বাচ্চারে শেষ করতে পারছি। তারপর ওসি প্রদীপ প্রথমে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে পা দিয়ে নাড়াচাড়া করে দেখেন। মেজর সিনহা পিএসসি তখনও জীবিত ছিলেন এবং পানি ও শ্বাস চাচ্ছিলেন। আসামি প্রদীপ কুমার দাশ তখন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান পিএসসিকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বুকের বাম দিকে জোরে লাথি মারে এবং সিনহা মো. রাশেদ খান পিএসসি এর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ওসি প্রদীপ কুমার দাশ তার পায়ের জুতা দিয়ে মেজর সিনহার গলায় চাপা দিয়ে ধরলে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়।’

তদন্ত কর্মকর্তার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, সিনহাকে লিয়াকত গুলি করেন আনুমানিক রাত ৯টা ২৫ থেকে ৯টা ৩০ এর মধ্যে। হাসপাতালের উদ্দেশ্যে গাড়িতে তোলা হয় রাত ১০টা ৪৪ মিনিটের দিকে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘এ সমস্ত কিছু বিশ্লেষণ করলে তদন্তে প্রতিয়মান হয় যে, গুলিবিদ্ধ আহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান পিএসসিকে হাসপাতালে নেওয়ার কাজটি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রায় সোয়া ঘণ্টা বিলম্বিত করা হয়েছে।’

এবার এই সোয়া এক ঘণ্টায় সেখানে আর কী হয়েছে তাও জেনে নেওয়া যাক। ওসি প্রদীপ তার সাথে আসা ফোর্সকে সিনহার গাড়িটি আবারও তল্লাশি করতে বলেন। টেকনাফ থানার কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মা কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে চিৎকার করে জানায় মেজর সিনহার গাড়ির ভেতর মাদক পাওয়া গেছে। যদিও আইসি লিয়াকত আলীর নির্দেশে ঘটনার পরপরই করা তল্লাশিতে কোএনা মাদক উদ্ধার হয়নি। এরপর সিনহার সঙ্গী সিফাতকে চেকপোস্টের ভেতর নিয়ে মুখের ওপর পানি ঢেলে এবং নানাভাবে নির্যাতন করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

প্রায় ঘটনার সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সিনহাকে বহনকারী ছারপোকাযুক্ত গাড়ি পৌঁছে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। এরপর কতর্ব্যরত চিকিৎসক রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ভিক্টিমকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে ঘোষণা করেন।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেবের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি সাতজন আসামি খালাস পেয়েছেন। (সূত্রঃ সময় টিভি ও প্রথম আলো)