এমপি মাশরাফীর প্রচেষ্টায় নড়াইলের গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ স্কীম অনুমোদিত

4
85

এমএসএ

নড়াইলবাসীর দুঃখ দু’র্দশায় সবসময় তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন। খ্যাতি কখনো তাঁকে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দূরে সরাতে পারেনি। জনসাধারণের উপকার তিনি আড়াল থেকে করতেই পছন্দ করেন। প্রচারণার থেকে তিনি কর্মকে বেশি প্রাধান্য দেন। এমন মুখবন্ধ তার পছন্দের না হলেও একথা এড়িয়ে যাওয়া কিছুটা কঠিন।

নড়াইল ২ আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার আগেও তিনি নড়াইলের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছিলেন। এটা তার রেকর্ড বলে দেয়। ক্রিকেটে যেমন ছিলেন সফল অধিনায়ক, রাজনীতিতেও তিনি জয়ী, যদিও এখানে পথগুলো সিধা না। তবে একে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। যে নে*তিবাচক অর্থ রাজনীতির সাথে জুড়ে আছে, তাকে মু’ছতে চান মাশরাফী এমপি। এজন্য হয়তো রাজনীতি তার নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নড়াইল ২ এর সাংসদ হওয়ার পর থেকে তিনি নড়াইলের স্বা’স্থ্য খাতে নজর দেন। একইসাথে ব’ন্যাকবলিত মানুষের জন্য তিনি এগিয়ে আসেন। তাঁর উপস্থিতিতে মা*দক, স*ন্ত্রা*সের হার অনেকাংশে কমেছে। নড়াইলে ক্রীড়ার প্রসারে তিনি অনবদ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। করোনাকালসহ বিভিন্ন সময়ে তিনি নিজ অর্থায়নে মানুষকে সহযোগিতা করে চলেছেন। (মাশরাফীর সকল রাজনৈতিক বা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করতে পত্রিকার search অপশনে গিয়ে #মাশরাফী লিখে সার্চ করুন।)

গত নির্বাচনের প্রাক্কালে নড়াইল ২ আসনের বেশিরভাগ সড়কগুলোর ছিল বেহা*ল অবস্থা। সূত্রে জানা যায়, সদর ও লোহাগাড়ার এসকল সড়ক ছিল চলাচলের অ*নুপযো*গী। বাইক ছাড়া যাওয়া সম্ভব নয় এমন রাস্তাই ছিল সবচেয়ে বেশি। নড়াইল ২ এর এমপি হবার পর মাশরাফী বেশকিছু সড়কের কাজ শেষ করেছেন। প্র’ত্যন্ত অঞ্চলের সড়কের মানও উন্নত হয়েছে।

ইতোমধ্যে নড়াইল জেলার সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের ২টি রাস্তা মে’রাম’তের ব্যবস্থা নিয়েছেন এমপি মাশরাফী। একইসাথে তার আসনের ১০টি সড়কের কাজ শুরু করার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। সূত্রে জানা যায়, এমপি মাশরাফীর প্রচেষ্টায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরে “গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ” এর আওতায় নড়াইল জেলায় এই সময়ান্তর স্কীমের অনুমোদন হয়েছে। অনুমোদিত সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ স্কীমের তালিকা নিম্নরূপঃ

১. নড়াইল সদরের চৌগাছা আরএইচডি হতে হোগলাডাঙ্গা সড়ক, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ৬,৫২৬,২২১.০০ টাকা। ২. লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া বাজার হতে কুমড়ি হাট সড়ক, রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ৫,৯০১,৭০০.০০ টাকা।

৩. নড়াইল সদরের মাথাভাঙ্গা হতে নন্দখোল সড়ক,রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ৪,৮৭১,৬৪৩.০০ টাকা। ৪.লোহাগড়ার মানিকগঞ্জ বাজার হতে লাহুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ রাস্তা, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ  ৩,৮২৩,৭৪১.০০ টাকা।

৫. নড়াইল সদরের শেখহাটি জিসি (ফকিরবাড়ি মোড়) হতে বসুন্দিয়া জিসি সড়ক, পুনর্বাসন ব্যয় ২,১৫৯,২৬৭.০০ টাকা। ৬. নড়াইল সদরের শেখহাটি ইউনিয়ন পরিষদের অফিস হতে নগর সড়ক, পুনর্বাসন ব্যয় ১২,৩৫,৩১৫.০০ টাকা।

৭. নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোল্লাপাড়া হয়ে দৌলতপুর প্রগতি যুব সংঘ সড়ক, পুনর্বাসন ব্যয় ১,২৭০,৪৩১.০০ টাকা। ৮. লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে বাতাসি বাজার হতে গোপালপুর বাজার (লোহাগড়া অংশের) সড়ক,পুনর্বাসন ব্যয় ২,৯৬১,৪২৯.০০ টাকা।

৯. লোহাগড়া উপজেলার সত্রহাজারি বাজার হতে ব্রাক্ষ্মণডাঙ্গা বাজার সড়ক, পুনর্বাসন ব্যয় ৪,২৪৭,১০২.০০ টাকা। ১০. লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া হিন্দুপাড়া রওশন শিকদার বাড়ি হতে ইদ্রিস জমাদ্দার ইটের ভাটা সড়ক, পুনর্বাসন ব্যয় ৩,৮৩২,৪২৪.০০ টাকা।

জনসাধারণের কল্যাণে এবং সমৃদ্ধ নড়াইল গড়ার স্বপ্নে সর্বদা মাঠেই রয়েছেন অলরাউন্ডার মাশরাফী। জেলার কাঙ্খিত উন্নয়ন সাধনে তিনি সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় রাখেন। তবে প্রশ্ন হলো জেলার বা এলাকার উন্নয়নের দ্বায়িত্ব কি একমাত্র সাংসদের?