এবছর ফিতরা জনপ্রতি সর্বোচ্চ ১৯৮০ টাকা ও সর্বনিম্ন ৭০ টাকা

24
11

নিউজ ডেস্ক

আসন্ন ঈদুল ফিতরে জনপ্রতি সর্বোচ্চ ১৯৮০ টাকা ও সর্বনিম্ন ৭০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন। দেশের সকল বিভাগ থেকে নেয়া আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। সভার জানানো হয় ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোন একটি দিয়ে ফিতরা প্রদান করা যায়।

আটা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৭০ (সত্তর) টাকা প্রদান করতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৫০০ (পাঁচশত) টাকা, কিসমিস দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১৩২০ (এক হাজার তিনশত বিশ) টাকা, খেজুর দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১৬৫০ (এক হাজার ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা ও পনির দিয়ে আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩শ’ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ১ হাজার ৯৮০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।

নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোন একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দিয়ে সাদাকাতুল ফিতরা আদায় করা যাবে। উল্লেখ্য, এসব পণ্যের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে। (সূত্রঃ বাসস)

উল্লেখ্য, ফিতরা বা ফেতরা আরবী শব্দ, যা ইসলামে যাকাতুল ফিতর (ফিতরের যাকাত) বা সাদাকাতুল ফিতর (ফিতরের সদকা) নামে পরিচিত। ফিতর বা ফাতুর বলতে সকালের খাদ্যদ্রব্য বোঝানো হয় যা দ্বারা রোজাদারগণ রোজা ভঙ্গ করেন। যাকাতুল ফিতর বলা হয় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব দুঃস্থদের মাঝে রোজাদারদের বিতরণ করা দানকে।