২০১৮ সালে দেশে মোট ৯৪২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে

2
24

নিউজ ডেস্ক

সেই বর্বরতা এখনও আমাদের রক্তে মিশে আছে। এখনও অবদমিত বাসনা প্রায়শই বের হবার আশাতে উদগ্রীব। বহু পুরনো সেই অভ্যেস। সব মানুষ তার বিচারবুদ্ধির পুরোটা এখনো হাতে পায়নি। অসভ্যতায় এখনো নিমজ্জিত রয়েছে ওৎ পেতে থাকা হায়নাগুলো। এখনো শিকারের অপেক্ষায় ওদের দিনরাত কাটে। ওদের জাত একটাই ওরা আদিম ধর্ষক। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত এদের নির্মম শিকার হন ১৭৩৮৯ জন মানুষ যাদের ১৩৮৬১ ছিলেন নারী এবং বাকি ৩৫২৮ জন শিশু। আজও থামেনি সে বর্বরোচিত কর্মকাণ্ড।

২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মোট ৯৪২টি। এর মধ্যে ১৮২ জন নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। শুধু ধর্ষণ করেই ওরা ক্ষান্ত হয়নি। প্রমাণ আড়াল করতে ৬৩ জনকে নির্মম ভাবে হত্যা করস। এছাড়া বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৯১৮ জন নারী ও কন্যা।

বাংলাদেশে মহিলা পরিষদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ ১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৮ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২৮ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়, শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছেন ৭১ জন, ১৪৬ জন হয়েছেন যৌন নির্যাতনের শিকার। এসিড নিক্ষেপে ১৯ জন নারীর মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রমণে ৭৩ জন অগ্নিদগ্ধের মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৪৫টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জাননো হয়, গত বছরে ৪১ জন নারী ও শিশুকে পাচার করা হয় যার মধ্যে ১৫ জনকে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে। ৪৮৮ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। ৩৯ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ২১২ জন নারী যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এদের ভেতর ১০২ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৮৭ জন গৃহপরিচারিকা। এর মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ৫৮ জনকে এবং নির্যাতনের কারণে ৪ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন । ১৭১ জনকে উত্ত্যক্ত করা হয়েছে যার মধ্যে ১৪ জন আত্মহত্যা করেছেন।

প্রতিনিয়ত এমন ধর্ষণ ও নির্যাতনের চিত্র যেন দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। এর প্রতিকার কতটুকু? প্রতিরোধ কিংবা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মধ্য দিয়ে এসকল মানসিক বিকারগ্রস্ত, বর্বরোচিত মুখোশধারী পশুদের থেকে কি কোন পরিত্রাণ মিলবে?