ইতির পড়াশোনার ইতি ঘটেনি, এগিয়ে এলেন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতা

48
87

স্টাফ রিপোর্টার

মেধাবী ছাত্রী ইতি খাতুন, শাহজাদপুর সরকারি কলেজে অনার্স ভর্তি পরীক্ষায় সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন। সবই ঠিক ছিল ইতিসহ পরিবারের সবাই খুব খুশি, মুহূর্তেই সবার আনন্দ বিষাদে পরিনত হলো। কারণ ইতির অনার্সে ভর্তি হতে লাগবে ৫,০০০ হাজার টাকা, যা ইতির দরিদ্র পিতার পক্ষে জোগাড় করা কোন ভাবেই সম্ভব না।

কথা হচ্ছিল সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর পৌর শহরের পুকুরপাড় গ্রামের দরিদ্র তাঁত শ্রমিক বাবার চতুর্থ মেয়ে ইতির। পরিবারে উপার্জনক্ষম একমাত্র মানুষটি হলো তার বাবা, তাঁতের কাজ করে অনেক কষ্ট করে তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ইতি’র পড়াশোনার প্রতি অদম্য আগ্রহ ও ইচ্ছা থাকায় শত অভাব সত্বেও তাকে পড়াশোনা করিয়েছেন তার তাঁত শ্রমিক পিতা। ইতি নিজে নাটাই ঘুড়িয়ে পড়াশোনার খরচ যুগিয়েছে, এভাবেই সে এইচএসসি পর্যন্ত কৃতিত্বের সাথে পড়ালেখা করেছেন।

এখন যেনো পড়ালেখা এভারেস্টের চুড়ায় উঠার শামিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৫,০০০ টাকা কোন ভাবেই তার পরিবারের পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব না। তার হয়তো পড়াশোনার এখানেই ইতি ঘটবে এটা ভেবে লুকিয়ে কান্না করে ইতি, তার বাবা মা আত্মীয় স্বজনদের কাছে সহযোগিতা চেয়েও ব্যর্থ বান্ধবীদের কাছেও বিষয়টি লুকায়না, তার এক বান্ধবী “দৈনিক ওশান ” এর সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি রাজিব আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করে তার সহযোগিতা চান।

রাজিব আহমেদ হলেন স্থানীয় সহযোগিতামূলক সামাজিক সংগঠন “সার্কেল শাহজাদপুর” এর সভাপতি। এই সংগঠনটি গত তিন বছর যাবৎ সিরাজগঞ্জ জেলার অসহায় জনগোষ্ঠীকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে থাকে। যেমন- বিনামূল্যে রক্তদান, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের পুনর্বাসন, ত্রাণ বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সহ অনেক বিষয়।

রাজিব আহমেদ ইতি ও তার বান্ধবীকে আশ্বস্ত করেন যে ইতি অবশ্যই অনার্সে ভর্তি হবে। বিষয়টি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ওয়ালে পোষ্ট করেন। প্রথমেই শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এইচ এম সুনাম, সাধারণ সম্পাদক হাজী রাসেল শেখ সহ অনেকেই তার সাথে যোগাযোগ করেন। পরে সুনামের সহযোগিতায় সেদিনই ইতি খাতুনের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।