স্বাধীনতা বিরোধীদের নাশকতা রুখতে হবে: নাজিম উদ্দিন আহমেদ

0
6
স্বাধীনতা বিরোধীদের নাশকতা রুখতে হবে: নাজিম উদ্দিন আহমেদ
স্বাধীনতা বিরোধীদের নাশকতা রুখতে হবে: নাজিম উদ্দিন আহমেদ

স্টাফ রিপোর্টার

বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে এদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা পূর্বের মত এদেশে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। এই নাশকতা ঠেকাতে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও বর্তমান প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহের গৌরীপুর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি এ আহবান জানান।

তিনি বলেন- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যে সম্মান দিয়েছেন, এজন্য তাঁর প্রতি সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা চির কৃতজ্ঞ। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সক্রিয়ভাবে মাঠে কাজ করতে হবে।

এদিন বেলা ১১ টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক হাসান মারুফের সভাপতিত্বে ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ নাজিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান, প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ আব্দুর রহিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন, ইকবাল হোসেন, রহিম উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, আমিনুল ইসলাম মুফতি, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা আক্তার রুবি, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রমিজ উদ্দিন স্বপন, পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মশিউর রহমান কাউসার প্রমুখ।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সন্তাদের উদ্যোগে এই দিবসকে কেন্দ্র করে কর্মসূচীর মধ্যে ছিল- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বিজয় র‌্যালি ও দোয়া-মাহফিল।

প্রসঙ্গত মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ৭ ডিসেম্বর দিনগত রাতে মুক্তিযুদ্ধের কোম্পানী কমান্ডার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধার নিকট গৌরীপুর থানায় অবস্থানরত পুলিশ ও রাজাকাররা আত্মসমর্পন করলে গৌরীপুর হানাদার মুক্ত হয়।