নড়াইল স্কুল ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষ/ণের শিকার!

0
20

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষ/ণের শিকার হয়ে এখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রী উপজেলার কামঠানা গ্রামের মেয়ে। গত বুধবার দিবাগত রাতে কামঠানা গ্রামে মধুমতি নদীর পাশে নির্জন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে বুধবার সন্ধ্যায় মেয়েটি তার ছোট ভাইকে বাড়ির পাশে তার চাচার বাড়ি এগিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় দুই বখাটে তাকে জোর পূর্বক ধরে মধুমতি নদীর তীরে হেভেন রিসোর্ট নামে নির্মানাধীন নির্জন পার্কে নিয়ে তাকে ধর্ষ/ণ করে। মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় গ্রামবাসীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। সংবাদ পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত পার্শ্ববর্তী বেলটিয়া গ্রামের সাফায়েত মোল্যার ছেলে রিফাত মোল্যা (১৮) এবং কোবাদ মোল্যার ছেলে হাবিবুর রহমান (১৬) নামে ২ বখাটেকে আটক করেছে। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া হাসপাতালে নেয়া হয়। রাতেই অবস্থার অবনতি হলে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। প্রচুর রক্ত ক্ষরণ ও অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে যশোর ২৫০ শষ্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে স্কুল ছাত্রীর ধ/র্ষণের কথা শুনে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ভুক্তভোগীর পিতার সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন এবং ওই পরিবারকে সকল প্রকার সহোযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এসময় লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিএম কামাল হোসেন ও লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম হায়াতুজ্জামান ভিক্টিমের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ওসি (অপারেশন) মিজানুর রহমান জানান, ধর্ষ/নের ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।