নড়াইলে কিশোরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা!

0
29
নড়াইলে কিশোরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা!
নড়াইলে কিশোরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা!

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত কিশোরের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সদর উপজেলার কর্মচঁন্দ্রপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হাতুড়িপেটার শিকার হয়ে জুয়েল ভূইয়া নামে এক কিশোর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৩ আগষ্ট) সন্ধার পর তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহতের প্রতিপক্ষের ২৫টির মত বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর,লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে চার পুলিশ সদস্য আহত হলে পুলিশকে ফাঁকাগুলি ছুড়তে হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ১০ জনকে আটক করা হয় । পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কর্মচঁন্দ্রপুর গ্রামের আতিয়ার সিকদার পক্ষ ও ইকরাম মোল্য পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধকে কেন্দ্রকরে ইতিপূর্বে একাধিক সংঘাত সংঘর্ষে রক্তপানের ঘটনায় উভয়পক্ষে মামলা মকদ্দমা চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় হামলার শিকার হয় পান্নু ভূইয়ার ছেলে জুয়েল। জুয়েল পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসাবাজারে একটি সবজির আড়তে কাজ করতো।

গত মঙ্গলবার (৯আগষ্ট) সকালে প্রতিদিনের মতো সে সকালে কাজে যাওয়ার সময়, গ্রাম্য বিবাদে নিরিহ কিশোর জুয়েলের কোন প্রকার সম্পৃক্ত না থাকা সত্বেও শুধুমাত্র পতিপক্ষ গ্রুপের হওয়ার অপরাধে আতিয়ার মোল্যা গ্রুপের লোকজন তাকে নির্মমভাবে হাতুড়িপেটা করে ফেলে রেখে যায়। এ অবস্থায় স্বজন ও আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে, সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উচ্চতর চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার সন্ধার দিকে তার মৃত্য হয়।

এ দিকে জুয়েলের মৃত্যুর খবরে তাদের পক্ষের বিক্ষুদ্ধ লোকজন প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় আতিয়ার সিকদার, উজ্জল শেখ, সুজন সেখ, তরিকুলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে টিভি, ফ্রিজ, আলমারি শোকেজসহ বাড়িঘরের যাবতীয় আসবাস ভেঙ্গে তছনত করে ফেলা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে হামলাকারিদের প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে, ৬ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়, এসময় হামলাকারিদের ইটের আঘাতে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়, ঘটনাস্থল থেকে সহিংসতায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। সহকারি পুলিশ সুপার এস এম কামরুজ্জামান জানান,ঘটনা স্থালে পুলিশ মোতায়ের আছে ,বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।