নড়াইল সদরে ১৩ ইউপি নির্বাচনে ৯টিতে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে

6
11
নির্বাচন
নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার

২য় ধাপে ইউপি নির্বাচনে নড়াইল সদরের ১৩টি ইউপি নির্বাচনে ৯টি ইউনিয়নেই নৌকা প্রতিকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আ’লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত এবং আ’লীগ সমর্থকরা নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ১৩টি ইউনিয়নের ৯টিতে ১১জন বিদ্রোহী এবং স্থানীয় আ’লীগের বিভিন্ন পদের অধিকারী ব্যক্তি ও সমর্থক হিসেবে আরও ৭জন নির্বাচনী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে আ.লীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাসদ এবং এনপিপি প্রার্থী দিয়েছেন। এছাড়া আ’লীগ বিদ্রোহী, আ’লীগ সমর্থক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীও মাঠে রয়েছেন।

জানা গেছে, চন্ডিবরপুর ইউনিয়নে নৌকার মাঝি বর্তমান চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ভূঁইয়া বিরুদ্ধে আ’লীগের বিদ্রোহী হিসেবে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, হবখালীতে নৌকা প্রতিকের টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে আ’লীগ বিদ্রোহী বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন চঞ্চল, শাহাবাদে নৌকা প্রতিকের আশরাফ খান মাহমুদের বিরুদ্ধে আ’লীগ বিদ্রোহী বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন পান্না ও অপর বিদ্রোহী ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান, তুলারামপুরে নৌকার মাঝি বর্তমান চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদের বিরুদ্ধে আ’লীগ বিদ্রোহী টিপু সুলতান ও শরীফুল ইসলাম, কলোড়াতে নৌকার মাঝি আশিষ বিশ্বাসের আ’লীগ বিদ্রোহী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্বাচ আলী সরদার, ভদ্রবিলায় নৌকার মাঝি সৈয়দ আবিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আ’লীগ বিদ্রোহী আল ইমাম সিকদার, বাঁশগ্রামে নৌকার মাঝি সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আ’লীগ বিদ্রোহী রফিকুল ইসলাম ফকির, জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি নাজমুল আলম, বিছালী ইউনিয়নে নৌকার মাঝি ইমারুল গাজীর বিরুদ্ধে আ’লীগ বিদ্রোহী বর্তমান চেয়ারম্যান এস.এম আনিসুল ইসলাম, মুলিয়ায় নৌকার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান রবিন্দ্রনাথ অধিকারীর বিরুদ্ধে আ’লীগ বিদ্রোহী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি বিপুল সিকদার নির্বাচনী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ্যাডভোকেট অচীন চক্রবর্ত্তী বলেন, যেসব ইউনিয়নে এখনও বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে তাদের গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সদর উপজেলার আ’লীগের বর্ধিত তিন দিনের সময় দেওয়া হয়। রোববার (৩১ অক্টোবর) জেলা আওয়ামী লীগের কাছে বিদ্রোহীদের বহিস্কারের সুপারিশ করা হবে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ কামরুজ্জমান জানান, ১১ নভেম্বর সদরের ১৩ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৪জন, সংরক্ষিত নারী আসনে ১’শ ৩১জন এবং সাধারন ওয়ার্ডে ৩৮২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী বিধি লংঘনে কয়েক প্রার্থীর ছোটখাট কিছু লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সেসব অভিযোগ আমলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

২য় ধাপে ইউপি নির্বাচনে নড়াইল সদরের ১৩টি ইউপি নির্বাচনে ৯টি ইউনিয়নেই নৌকা প্রতিকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আ’লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত এবং আ’লীগ সমর্থকরা নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ১৩টি ইউনিয়নের ৯টিতে ১১জন বিদ্রোহী এবং স্থানীয় আ’লীগের বিভিন্ন পদের অধিকারী ব্যক্তি ও সমর্থক প্রার্থী হিসেবে আরও ৭জন নির্বাচনী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, সদরের এসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ৪৪জন নির্বাচন করছেন। নির্বাচনে আ.লীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাসদ এবং এনপিপি প্রার্থী দিয়েছেন। এছাড়া আ’লীগ বিদ্রোহী, আ’লীগ সমর্থক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।

জানা গেছে, মাইজপাড়া ইউনিয়নে জন ৪জন নির্বাচন করছেন। এর মধ্যে নৌকা প্রতিকের জসিম মোল্যা, জাতীয় পার্টির সমর্থক মিলন মল্লিক, বিএনপির সমর্থক ফেরদৌস হোসেন সিকদার ও সাফায়েত কবির নির্বাচন করছেন।

হবখালী ইউনিয়নে ২জনের মধ্যে নৌকা প্রতিকের টিপু সুলতানের বাইরে আ’লীগের বিদ্রোহী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন চঞ্চল নির্বাচন করছেন।

চন্ডিবরপুর ইউনিয়নে ৩জন নির্বাচন করছেন। এর মধ্যে নৌকা প্রতিকের বর্তমান চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান ভূঁইয়া, আ’লীগের বিদ্রোহী হিসেবে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ মিজানুর রহমান নির্বাচন করছেন।

আউড়িয়া ইউনিয়নে ২জনের মধ্যে নৌকা প্রতিকের এস.এম পলাশ এবং আওয়ামী লীগের সমর্থক আকরাম হোসেন ভূঁইয়া মাঠে রয়েছেন। শাহাবাদ ইউনিয়নে ৩জন মাঠে রয়েছেন। এখানে নৌকা প্রতিকের আশরাফ খান মাহমুদ, আ’লীগের বিদ্রোহী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন পান্না ও অপর বিদ্রোহী ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান নির্বাচনী লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন।

তুলারামপুর ইউনিয়নে ৩জন মাঠে রয়েছেন। এখানে নৌকা প্রতিকে বর্তমান চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ, আ’লীগের বিদ্রোহী হিসেবে সাবেক চেয়ারম্যান টিপু সুলতান ও শরীফুল ইসলাম নির্বাচন করছেন।
শেখহাটি ইউনিয়নে ৫জন নির্বাচন করছেন। এখানে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী গোলক চন্দ্র বিশ্বাস, স্বতন্ত্র হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ, বোরহান খান, সেলিম রেজা মাসুম এবং বিএনপির সমর্থক সরদার ওলিয়ার রহমান নির্বাচন করছেন।
কলোড়া ইউনিয়নে ২জনের মধ্যে নৌকার মাঝি হয়েছেন আশিষ বিশ্বাস এবং আ’লীগের বিদ্রোহী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্বাচ আলী সরদার।
সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নে ২জনের মধ্যে নৌকার মাঝি হলেন সাইফুল ইসলাম হিটু। ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক বর্তমান চেয়ারম্যান উজ্জ্বল শেখ দলীয় মনোননয়ন না চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।

ভদ্রবিলা ইউনিয়নে ৫জন লড়ছেন। এখানে নৌকার মাঝি সৈয়দ আবিদুল ইসলাম। আ’লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে নির্বাচন করছেন আল ইমাম সিকদার। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সজিব মোল্যা, আ’লীগ সমর্থক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মোঃ হাফিজুর রহমান নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

বাঁশগ্রাম ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬জন নির্বাচন করছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম এবারও নৌকার মাঝি। আ’লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে রফিকুল ইসলাম ফকির, জেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি নাজমুল আলম, এনপিপির ইবাদুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোঃ মুর্শিদ আলম এবং স্বতন্ত্র হিসেবে গোলাম সরোয়ার মিটু নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।

বিছালী ইউনিয়নে ৫জন নির্বাচনী যুদ্ধে রয়েছেন। এখানে নৌকার মাঝি হয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান ইমারুল গাজী। আ’লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে গতবারের নৌকার মাঝি বর্তমান চেয়ারম্যান এস.এম আনিসুল ইসলাম, স্বতন্ত্র হিসেবে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি হিমায়েত হুসাইন, লুৎফর রহমান শেখ এবং আকরাম ফারাজি নির্বাচন করছেন।

মুলিয়া ইউনিয়নে ২জন নির্বাচন করছেন। বর্তমান চেয়ারম্যান রবিন্দ্রনাথ অধিকারী এবারও নৌকা প্রতিকের মাঝি । দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি বিপুল সিকদার নির্বাচন করছেন।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ্যাডভোকেট অচীন চক্রবর্ত্তী বলেন, যেসব ইউনিয়নে এখনও বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে তাদের গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সদর উপজেলার আ’লীগের বর্ধিত তিন দিনের সময় দেওয়া হয়। রোববার (৩১ অক্টোবর) জেলা আওয়ামী লীগের কাছে বিদ্রোহীদের বহিস্কারের সুপারিশ করা হবে।

উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ কামরুজ্জমান জানান, ১১ নভেম্বর সদরের ১৩ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪৪জন, সংরক্ষিত নারী আসনে ১’শ ৩১জন এবং সাধারন ওয়ার্ডে ৩৮২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনী বিধি লংঘনে কয়েক প্রার্থীর ছোটখাট কিছু লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সেসব অভিযোগ আমলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।