সোনালী ব্যাংক, লক্ষ্মীপাশা শাখার ম্যানেজারসহ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

41
57
নড়াইলে অগ্নিকান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার

লোহাগড়ার উপজেলার লক্ষ্মীপাশা সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার ও কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসদাচরন ও দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। আবেদনকারীরা ম্যানেজার মিজানুর রহমান ও অফিসার সুজিত কুমারসহ কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষকদের অসম্মানজনক কথা বলা,গ্রাহকদের চেক ছুড়ে মারা, ব্যাংক থেকে বের করে দেয়া, দালালের মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে লোন দেয়ার অভিযোগ করেছেন। এসব আচারনে অনেক গ্রাহক ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই শাখা থেকে তাদের ডিপোজিট অন্য ব্যাংকে সরিয়ে নিচ্ছে।

অভিযোগকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রেবেকা সুলতানা জানান,‘আমি সম্প্রতি টাকা উত্তোলনের জন্য ভুলবশত এন্ট্রি ছাড়া একটি চেক ক্যাশে জমা দেই।তখন ক্যাশে থাকা কর্মকর্তা বলে আপনিতো প্রাইমারীর মাষ্টের আপনার মাথায় ঘিলু নেই বলে চেক ছুড়ে মারেন’। পুরো প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ তুলে এমন কথা বলায় রেবেকা সুলতানা কেদে ফেলেন এবং ব্যাংক থেকে বের হয়ে আর ওই ব্যাংকে যান না।
টিপু মিয়া জানান, টাকা উত্তোলনের সময় চেকে সামান্য ত্রুটি হওয়ায় তিনি ম্যানেজারের কাছে গেলে কথা না শুনে রুম থেকে বের করে দেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডিডির পরিচয় দিলে ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন ও-রকম ২/৪ জন ডিডি আমার পিছনে ঘোরে।

ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল হাসান বলেন, ব্যাংকের কোন কাজে ম্যানেজারের সাথে পরামর্শ করতে গেলে তিনি কথা না শুনেই রুম থেকে বের করে দেন। ব্যবসায়ি বাচ্চু মিয়া বলেন, ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার সুজিত কুমার চেক বই তুলতে গেলে প্রায়ই গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচারন করেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মচারী সিরাজুল ইসলাম নতুন চেক বই আনতে গেলে ওই কর্মকর্তা বলেন ‘ তুই পিয়ন ব্যাংক থেকে বের হ নইলে আনসার দিয়ে বের করে দিলাম’। ম্যানেজার মিজানুর রহমান ও অফিসার সুজিত কুমারের অসদাচরণের কারনে অনেক গ্রাহক টাকা তুলে নিয়ে অন্য ব্যাংকে চলে যাচ্ছে।

এদিকে ওই ম্যানেজার ঘুষ নিয়ে একই পরিবারের একাধিক সদস্যদের মধ্যে প্রণোদনার লোন দিয়েছে। সুবিধার বিনিময়ে কুমড়ি গ্রামের জাবের, বয়রা গ্রামের সবুজ কাজী ও আনসার সদস্য কামরুলের মাধ্যমে কৃষি লোন বিতরণ করেন। লোন বিতরনের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত খরচের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে ম্যানেজার মিজানুর রহমান ও অফিসার সুজিত কুমার তাদের বিরুদ্ধে আনিত অনিয়ম ও অসদাচরনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।