নড়াইলে প্র’স্তাবিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নামে জ’মির বাজার মূল্যে পরিশো’ধের দা’বি

3
19
নড়াইলে প্র'স্তাবিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নামে জ'মির বাজার মূল্যে পরিশো'ধের দা'বি
নড়াইলে প্র'স্তাবিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নামে জ'মির বাজার মূল্যে পরিশো'ধের দা'বি

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলে প্র’স্তাবিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নামে অধিগ্র’হণকৃত জ’মির বাজার মূল্যে পরিশো’ধের দা’বিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নড়াইল প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনে বো’ড়াবা’দুরা ও সী’মাখালী মৌ’জাবা’সীর আয়োজনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষ’তিগ্র’স্থ জ’মির মা’লিক বাদশা সরদার। এছাড়াও প্রশান্ত মল্লিক, ফরিদুল ইসলাম এবং শ্রীবা’স মিত্র তাদের দা’বি তু’লে ধরেন।

লিখিত বক্তব্যে বলেন, নড়াইলের শহরতলি মালিবাগ এলাকায় ‘প্রকৌশলী খান হাতেম আলীর নামে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’ প্রতিষ্ঠিত হবে, সেজন্য আমরা সবাই খুশি। এজন্য নড়াইল সদর উপজেলার ৪নং আউড়িয়া ইউনিয়নের ৫নং বোড়াবাদুরিয়া ও ৫১নং সীমাখালী মৌজায় ৮ একর জ’মি অধিগ্র’হণ করা হচ্ছে। কিন্তু সরকারিভাবে শতক প্রতি মাত্র ১৮ হাজার ৮শ টাকা নির্ধরণ করা হয়েছে, যা বাজার তুলনায় কয়েকগুণ কম। গত তিনি বছর এ দুটি মৌজার রেট পরিবর্তন হয়নি। বর্তমানে এ এলাকার জায়গা শতক প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা করে। আমরা জমির মূল্য নির্ধরণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে একটি দরখা’স্ত করলেও তার কোনো সূরা’হা হয়নি। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে জমির না’য্য পেতে সরকারের কাছে জো’র দা’বি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ ফকরুল হাসান বলেন, সংশ্লিষ্ট এলাকার নিকটবর্তী স’মশ্রেণি ও সমসু’বিধাযুক্ত সকল বিক্রিত জমির বিক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে ক্ষ’তিগ্র’স্থ জমির মালিকদের জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ সালের পর বো’ড়াবা’দুরিয়া এবং সীমাখালী মৌজার রেট বা’ড়েনি। ওই রেট অনুযায়ী তারা ক্ষ’তিপূ’রণ পাবেন। তবে অধিগ্র’হণভূ’ক্ত জ’মির মালিকদের জ’মির মূল্য পূনঃনির্ধারণের দা’বির প্রেক্ষিতে ৩সদস্য একটি কমিটি নির্ধারণ করা হয়। কমিটি ত’দ’ন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। তবে এখনও কোনো সি’দ্ধা’ন্ত হয়নি।

উল্লেখ্য, নড়াইলে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নির্মাণের জন্য ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে একনেকে ৩শ ৬৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমো’দনের ৪ বছর পর প্রকৌশলী খান হাতেম আলী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটি নির্মাণে স্থান নির্বাচন করা হলেও স্থানীয় জ’মির মালিকদের জ’মির মূল্য নিয়ে বিরো’ধিতার কারণে কলেজটির কাজ শুরু হয়নি। গত ৬ আগস্ট জেলা প্রশা’সকের পক্ষ থেকে মালিবাগ এলাকায় ৮একর জ’মির কাগজপত্র ও জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। সম্প্রতি ডি’জিটাল সা’র্ভে হয়েছে। খুব শীগ্রই সয়ে’ল টে’স্ট হবে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে এ কলেজটির কাজ শে’ষ হবার কথা।