যে দেশের ভ্যা’কসিন বাংলাদেশ আগে পাবে! কবে পাবে?

0
3
কোন দেশের ভ্যা'কসিন বাংলাদেশ আগে পাবে? কবে পাবে?
প্রতীকী ছবিঃ ভ্যা'কসিন

নিউজ ডেস্ক

করো’না ভাই’রাস প্রতিরো’ধে যে দেশগুলো ভ্যা’কসিন তৈরি করার কাজ করছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশগুলো হলো চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র। তবে যে দেশই ভ্যা’কসিন আগে বাজারজাত করবে, সেই দেশকেই বাংলাদেশ সরকার প্রাধান্য দেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ কার ভ্যা’কসিন আগে পাবে, সেটা কী বিনা পয়সায় নাকি কিনতে হবে তা নিয়েও আলোচনা বাড়ছে। তবে দেশে ট্রায়ালের অনুমতি দেয়ায় ভ্যা*কসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে সহজ হবে বলেও তারা মনে করেন।

এ মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২শ’ টি গবেষণা কেন্দ্র করোনার ভ্যা’কসিন নিয়ে কাজ করছে। যার মধ্যে আটটি ভ্যা’কসিনের গবেষণা রয়েছে তৃতীয় ধাপে, যার মধ্যে চার থেকে পাঁচটিকে ভ্যা’কসিন হিসেবে পাওয়া যাবে। এছাড়া প্রায় ৩০টির মতো রয়েছে প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপে। সব মিলিয়ে ক’রোনা প্রতিরো*ধে ৯ ধরনের ভ্যা’কসিন নিয়ে কাজ হচ্ছে, যার মধ্যে ছয় ধরনের ভ্যা’কসিন বিশ্বের ইতিহাসে এবারই প্রথম, এই ছয় টেকনিকের ভ্যা’কসিন পৃথিবীতে এখনও নেই।

গত জুলাই মাসে বাংলাদেশ ভ্যা’কসিনের আবেদন করেছে। চীন, ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যা’কসিনের কাজ অ্যাডভান্সড স্টেজে রয়েছে। বাংলাদেশেও কয়েকটি কোম্পানি ভ্যা’কসিন তৈরির কাজ করছে। আবার বিশ্বে ৬০টি দেশ রয়েছে, যারা টাকা দিয়ে ভ্যা’কসিন কিনবে। আর ৯২টি দেশ রয়েছে যারা বিনা পয়সায় পাবে, যার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। তাই বাংলাদেশ কবে পাবে বা কার ভ্যা’কসিন আগে পেতে পারে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত বিশ্বে ১৪১টি ভ্যা’কসিন ডেভেলপ হয়েছে। হিউম্যা’ন ট্রায়াল বা শেষ ও তৃতীয় ধাপে রয়েছে ২৫টি ভ্যা’কসিন। এরমধ্যে থার্ড ফেইজের ট্রায়ালে রয়েছে চীনের তিনটি, অক্সফোর্ডের একটি, মডার্নার একটি ও ফাইজারের একটি। আর সবকিছু নির্ভর করছে থার্ড ফেইজে ট্রায়ালের রেজাল্টের ওপর।

যখনই ভ্যা’কসিন আসুক না কেন, সারা পৃথিবীর মানুষ যেন একসঙ্গে পায় সে বিষয়ে গত ৪ জুন গ্লোবাল ভ্যা’কসিন সামিট হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ‘কো’ভিড-১৯ ভ্যা’কসিন এক্সেস ফ্যাসিলিটি বাকো-ভ্যা’ক্স’ ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে পৃথিবীর সবাই যেন সমহারে ভ্যা’কসিন পায়।

গত ৯ জুলাই বাংলাদেশ এক্সপ্রেসন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) সাবমিট করেছে। কো-ভ্যা’ক্স ফ্যাসিলিটি এবং গ্যাভি ইতোমধ্যে জানিয়েছে যে বাংলাদেশ ভ্যা’কসিন পাবে। কিন্তু ভ্যা’কসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে উন্নত দেশ কিনে নেবে, আর আমাদের মতো মধ্যম আয়ের দেশ কো-ফাইন্যান্সিং হিসেবে যাবে। পৃথিবীর ১৭১টি দেশ এই কো-ফাইন্যান্সিংয়ের ভেতরে রয়েছে।

গত ১৮ জুলাই চীনা কোম্পানি সিনো’ভ্যাক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডকে বাংলাদেশে তাদের টি’কা ক্লি*নিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। তার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে চীনা ভ্যা’কসিন সিনোভ্যাকের ট্রায়াল শিগগিরই শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তবে একইসঙ্গে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, যে দেশের ভ্যা’কসিন আগে আসবে, তাদের কাছ থেকেই সেটা কেনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। রাশিয়া ভ্যা’কসিন আবিষ্কারের দাবি জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকেও ভ্যাকসিন আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ এবং সেজন্য রাশিয়াকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আবার ভারতের সিরা*ম কোম্পানির উৎপাদিত অক্সফোর্ড ভ্যা’কসিন আনার বিষয়েও আলোচনা চলছে।

দেশীয় ও*ষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মা*সিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটে*ক লিমিটেডের করোনার ভ্যা’কসিন আগামী ডিসেম্বর নাগাদ বাজারে আসবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ডিসেম্বর মাস নাগাদ ভ্যা’কসিন বাজারজাত করতে পারবো বলে আশা করছি।