করোনা সংকট রুখতে ও আসন্ন রমজানে পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা অভিযান

3
15
করোনা সংকট রুখতে ও আসন্ন রমজানে পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা অভিযান
করোনা সংকট রুখতে ও আসন্ন রমজানে পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভোক্তা অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে ও আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকি অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

বুধবার (১৫ এপ্রিল, ২০২০) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহার সার্বিক নির্দেশনায় এবং পরিচালক শামীম আল মামুনের (প্রশাসন) তত্ত্বাবধানে, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল জব্বার মন্ডল, ফামিনা আক্তার, রোজিনা সুলতানা, জান্নাতুল ফেরদৌস এর নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরের গুলশান-১ কাঁচা বাজার, গুলশান-২ কাঁচাবাজার, বনানী কাঁচাবাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, রামপুরা বাজার, মধুবাগ বাজার, ইন্দিরা রোড কাঁচা বাজার, পশ্চিম রাজা বাজার কাঁচা বাজার, পান্থপথ বউবাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, কলমি লতা বাজার,কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া বাজার, মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ কাঁচা বাজারে তদারকিমূলক অভিযান পরিচালিত হয়।

সর্বমোট ঢাকা মহানগরীতে ১৬ টি বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক অভিযান চালানো হয় এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ লঙ্ঘনের দায়ে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে ৬৫০০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। মহানগরের দুইটি স্থানে টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য বিক্রয় (ট্রাকসেল) তদারকি করা হয় এবং ভোক্তাদের সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে পণ্য ক্রয় করতে আহ্বান জানানো হয় সাথে সাথে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় না করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

এছাড়া সারা বাংলাদেশ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহে এ তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহা আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয়ের জন্য ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানান। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে ক্রয়- বিক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মোড়কবিহীন পণ্যের মূল্য তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য অনুরোধ করেন। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা হতে বিরত থাকতে বলেন এবং টেকসই ভোক্তা ও ব্যবসা বান্ধব বাজার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা চান।