নড়াইলে মেধাবী কলেজ ছাত্র প্লাবন হত্যার ন্যায় বিচার চান স্বজনরা

0
136
নড়াইলে মেধাবী কলেজ ছাত্র প্লাবন হত্যার ন্যায় বিচার চান স্বজনরা
নড়াইলে মেধাবী কলেজ ছাত্র প্লাবন হত্যার ন্যায় বিচার চান স্বজনরা

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলে মেধাবী কলেজ ছাত্রের হত্যার বিচারের দাবিতে নিহতের বাবা-মা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার (১১ জানুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১ টায় নড়াইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে নড়াইল সিটি কলেজের মেধাবী কলেজ ছাত্র প্লাবন বসর বাবা সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামের রবীন্দ্রনাথ বসু ও মা উষা রাণী বসু জানান, আসামিরা জামিনে ছাড়া পেয়ে তাদের মামলা তুলে নিতে হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছে এবং নিজেরা নাশকতামূলক কাজ করে আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। তারা আসামিদের জামিন বাতিল করে মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন নিহত ছাত্রের শিক্ষক নড়াইল সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মলয় নন্দী এবং নিহতের কাকা অমীয় রঞ্জন বসু।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত বছরের ২০ মে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদরের মাথাভাঙ্গা গ্রামে রবীন্দ্রনাথ বসুকে তার বাড়ির সামনে গরুতে জমির ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী নিতাই বিশ্বাসের পূত্র সত্যজিৎ বিশ্বাস, তাপস বিশ্বাস ও তপন বিশ্বাস রবীন্দ্রনাথ বসুকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তার সন্তান কলেজ ছাত্র প্লাবন ঠেকাতে আসলে আসামিদের হাতে বাবা ও সন্তান গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় ২৩ মে রবীন্দ্রনাথ বসু সদর থানায় মামলা দায়ের করেন এবং ২৮ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্লাবন মারা যায়।

নিহতের বাবা-মা জানান, এ ঘটনার পর আসামিরা দ্রুত জামিনে ছাড়া পেয়েই তাদের পূনরায় বিভিন্ন হুমকি-ধমকি শুরু করেছে এবং বলেছে মামলা তুলে না নিলে প্লাবনের মতো পরিণতি হবে। তারা অভিযোগে জানান, ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে আসামিদের বিছালী রাখার ঘরে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয় এবং এ ঘটনায় আমাদের ওপর দায়ভার চাপানোর চেষ্টা করে। আসামিদের কিছু প্রভাবশালী লোক ইন্দোন দিচ্ছে। সব মিলিয়ে আমরা এখন চরম নিরাপত্তাহনতার মধ্যে বসবাস করছি। সন্ধ্যা হলেই আমরা বাড়িতে চলে আসি। ঘর থেকে আর বের হই না। এসব কারনে গত ৮ জানুয়ারী সদর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। জিডি নং- ৩৫৫। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গ্রামে বসবাস করতে চাই এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করি।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এস আই মোঃ আব্দুস সালাম জানান, হত্যার ঘটনার এক মাস পরই আসামি ৩জনের বিরুদ্ধে চার্জসিট প্রদান করা হয়েছে। এখন মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।