ঢাকার সাভারে নড়াইলের পাঞ্জেরীর র*হস্যজনক মৃত্যু

2
294

স্টাফ রিপোর্টার

ঢাকার সাভারে নড়াইলের গোবরা গ্রামের লিয়াকত হোসেনের মেয়ে পাঞ্জেরী নূর ঝুমুর (৩০) এর র*হস্যজনক মৃত্যৃ হয়েছে। শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে গোববায় ঝুমুর এর গোপনে দাফনের চেষ্টা করা হলে পুলিশের বাঁধায় দাফন করতে পারেনি। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় সদর হাসপাতালে ময়*নাতদন্ত শেষে রাতে গোবরার একটি গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়*নাতদন্তের রিপোর্টের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে পাঞ্জেরীর মৃত্যুর পর ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শা*স্তির দাবিতে সরব হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এ ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক উপযুক্ত শা*স্তির দাবি জানানো হয়েছে।

পাঞ্জেরির খালা রোজি বেগম এবং খালু হেমায়েত হোসেন জানান, গত এক বছর আগে জেলার লোহাগড়ার উপজেলার ইতনা গ্রামের আসাদুজ্জামানের ছেলে রিয়াজুজ্জামান কনক (৪০) ও পাঞ্জেরী নূর ঝুমু একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই তাদের কনকের চাকরি করা না করাকে কেন্দ্র তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো এবং পাঞ্জেরির মায়ের পেনশনের টাকার জন্য চাপ দিত। গত ৬ মাস পূর্বে তারা ঢাকার সাভারে একটি বাসায় ভাড়া নেয়। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে অসুস্থ অবস্থায় ঝুমুকে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার দাবি ঝুমুরকে পরিকল্পিতভাবে হ*ত্যা করা হয়েছে।

পাঞ্জেরীর স্বামী রিয়াজুজ্জামান বলেন, ঘটনার সময় আমার মা ঢাকা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। ওই সময় পাঞ্জেরী আমাকে ফোন দিয়ে বাসায় আসতে বলে। আমি হাসপাতালে মাকে রেখে আসতে পারিনি। পাঞ্জেরীর একটু বেশি অভিমানি ছিলো। খুটিনাটি এসব নিয়ে ছোটকাটো মনোমালিন্য হতো। তবে এটা মৃত্যুর কারণ নয়। সে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আ*ত্মহ*ত্যা করেছে বলে শুনেছি।

নড়াইল সদর থানার এসআই হাবিব বলেন, সুরতহাল তৈরিকালে পাঞ্জেরীর গলায় থে*তলে যাওয়ার মতো দাগ পাওয়া গিয়েছে। লাশের ময়*নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কনক ও ঝুমু উভয়েরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। ঝুমুর স্বামী রিয়াজ বন বিভাগে চাকরী করলেও তার চাকুরী চলে যায়। স্বামী রিয়াজ্জামানের প্রথম স্ত্রী ও একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে। ঝুমুরও প্রথম সংসারে ৮ বছরের পিয়ান নামে একটি ছেলে রয়েছে। পাঞ্জেরীর মা নড়াইল আব্দুল হাই সিটি কলেজে আয়া ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি মারা গেলে বাবা আরেকটি বিয়ে করেন।

সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ মশিউর রহমান বাবু বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় পাঞ্জেরির ময়*নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া হবে। রিপোর্টের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। মৃত্যুর আগের কয়েকদিন ধরে পাঞ্জেরী তার ফেসবুকে আবেগঘন বিভিন্ন কথা লেখেন। সেই লেখা থেকে দেখা যায় অধিকাংশ লেখাতে ছিল জীবনের নানা হিসাব-নিকাশ এবং অ*স্থিরতার কথা।

বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারর্স ফোরাম নড়াইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমান বলেন, ‘পাঞ্জেরীর মৃত্যু, হ*ত্যা বা আ*ত্মহ*ত্যা যাই হোক না কেন, ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে।