মে মাসের প্রথম ৯ দিনে সারাদেশে ৪১ শিশু ধর্ষণের শিকার

2
20

নিউজ ডেস্ক/এমএসএ

সারাদেশে ধর্ষণ যেন মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে এই ধর্ষণ। মানুষের এই বর্বরোচিত মানসিকতার কাছে অসংখ্য নারী ও শিশুর স্বাভাবিক জীবন বলি দিতে হচ্ছে। বিষাদের কথা বলতে গেলে বলতে হয়, এসকল পশু রূপী মানুষেরা এদেশের নাগরিক। এবছরের এপ্রিলের প্রথম ১৫ দিনে ৩৯ শিশু ধর্ষণের চিত্র একটি জরিপে উঠে আসে। এক মাস না পেরোতেই এই চিত্র আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। মে মাসের প্রথম ৯ দিনে রাজধানীসহ সারাদেশে ৪১ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে যার মধ্যে মারা গেছে তিনটি শিশু। এসব শিশুর মধ্যে মেয়ে শিশু ৩৭টি, ছেলে শিশু চারটি। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ধর্ষণ আতঙ্কে দিন পার করতে হবে সাধারণ ও স্বাভাবিক মানুষের।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। গণমাধ্যমে তাদের দেয়া এক বিবৃতিতে জানা যায়, ছয়টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে এই জরিপ চালিয়েছে সংস্থাটি। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক শাহানা হুদা রঞ্জনা বলেন, ‘ছয়টি পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে আমরা ধর্ষণের শিকার শিশুদের সংখ্যাটি নির্ণয় করেছি। আসল সংখ্যাটি হয়তো আরও বেশি। এ সংখ্যাটি অস্বাভাবিক।’ সংস্থাটি দেশে শিশু ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেছে। একই সাথে শিশুদের প্রতি চলমান সহিংসতা ও নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সভাপতি অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম বলেন, ‘শিশু ধর্ষণের ঘটনাগুলো খুবই অ্যালার্মিং। আমাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত। বিশেষ করে যারা নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে রয়েছে, তাদের আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা নিতে হবে। শাস্তির বিষয়টি পরে, সবার আগে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে, সবাইকেই এ নিয়ে আরও বেশি কথা বলতে হবে।’

এছাড়া কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার নার্স শাহীনূর আক্তার তানিয়ার মৃত্যুর ঘটনাতেও শোক ও নিন্দা জানিয়েছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি। উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুড়ি বাহেরচর গ্রামে যাবার পথে বাজিতপুরের গজারিয়া জামতলি এলাকায় স্বর্ণলতা নামে একটি বাসে একা পেয়ে নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়াকে (২৪) বাসের চালক ও হেলপারসহ কয়েক দুর্বৃত্ত গণধর্ষণ ও হত্যা করে। এ ঘটনায় চালক নুরুজ্জামান ও হেলপার লালনসহ বকুল, খোকন ও রফিক নামে পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে বুধবার আদালতে সোপর্দ করলে আদালত ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।