কালিয়ায় সাংবাদিকের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা

32
19

স্টাফ রিপোর্টার

সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করায় দৈনিক সমকালের কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি ও কালিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতিকে এবার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছে সন্ত্রাসীরা। এ অভিযোগে সমকালের কালিয়া প্রতিনিধি মশিউল হক মিটু জীবনের নিরাপত্তা দাবি করে উপজেলার নড়াগাতি থানায় সোমবার (২৬ নভেম্বর) জিডি করেছেন ( নং-১০২৮)। সম্প্রতি কালিয়ার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী লাকি মীর ও তার মাদক ব্যবসায়ী কয়েক ভাই গুলি ও বোমা হামলায় স্বস্ত্রীক পঙ্গুত্ব বরনকারি মিটুকে হুমকি দিয়ে আসছিল। মিটু জানান, প্রকাশ্য দিবালোকে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে।

জিডির বিবরনে জানা যায়, পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া গ্রামের আশরাফ মীরের পূত্র হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী লাকি মীরের ভাই রুবেল মীরকে গত ১ নভেম্বর গাজাসহ নড়াগাতি থানা পুলিশ আটক করলে ইউএনও-এর ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা দিয়ে ছাড়া পায়। এ ঘটনার পর গত ২৪ নভেম্বার বিকেল ৫টার দিকে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী লাকি, রুবেল, একটি হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও সরকারের তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী অপর ভাই ফারুক মীর ও জামিনে থাকা সাজাপ্রাপ্ত মনির মীর তাদের (লাকিদের) বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে নিজ রাড়িতে ফেরার পথে সাংবাদিক মিটুর পথ আটকে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে বলে,“ তুই আমাদেরকে পুলিশে ধরিয়ে দিচ্ছিস,তোর পুলিশ বাবারা তোকে কত সময় বাঁচাবে? রুবেলকে গাজাসহ পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে আমাদের অনেক টাকা খরচ করিয়েছিস। আমাদের কাজে যদি বাঁধা দিস তবে তোকে যখন তখন খুন করবো।” এ ঘটনায় সোমবার সাংবাদিক মিটু ৪জন সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে উপজেলার নড়াগাতি থানায় সাধারন ডায়রি করেছেন। সাংবাদিক মিটু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

নড়াগাতি থানার ওসি মোঃ আলমগীর কবির বলেছেন, সাংবাদিক মিটুর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১০ জুলাই কলাবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে মশিউল হক মিটু ও তার স্ত্রী রিনা খানম ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা ঘরের জানালা দিয়ে হামলা চালালে বোমা ও গুলির আঘাতে গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় সাংবাদিক মিটুর ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলটি কেটে ফেলতে হয়। বাকি আঙ্গুলগুলোও অকেজো। রিনার হাত-পায়ে এখনও শক্তি ফিরে আসেনি। ঠিকমত হাটতে পারেন না।