মাদকের নামে আটক বাণিজ্যের অভিযোগে ২ পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড

15
45

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় মাদকের নামে আটক বাণিজ্যের অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড হয়েছেন। তাঁরা হলেন লোহাগড়া থানার এএসআই মোঃ ইসমাইল হোসেন ও এএসআই সুজন ফকির। গত শনিবার (২৬ মে) রাতে লোহাগড়া থানা থেকে তাঁদের ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়।

লোহাগড়া থানা সূত্রে জানা গেছে, জয়পুর গ্রামের আবু সাইদ বাবুলের ছেলে আবু নাইম আকাশকে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লোহাগড়া বাজারের পশ্চিমপাশে জয়পুর মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছে ১০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।

আবু নাইমের মা রেকসোনা পারভীন বলেন, নাইমের সাথে তাঁর এক বন্ধু গল্প করছিলো। এ সময় দু’জনকে ওই দুই পুলিশ অফিসার ধরে থানায় নিয়ে যায়। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নাইমের বন্ধুকে থানা থেকে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু নাইমকে ছেড়ে দিবে বলে চার হাজার টাকা নিয়েও তাঁকে ছাড়েনি। টাকা দাবি করেছিল আরো বেশি। পরে ফোনে এএসআই সুজন ফকিরের সাথে কথা হয়। সুজন ফকির আমাকে বলেছেন চার হাজার টাকা দেওয়ায় ১০ পিস ইয়াবার মামলা হয়েছে, টাকা না দিলে ৫২ পিস ইয়াবার মামলা হতো। এসব বিষয় আমি নড়াইলের পুলিশ সুপারকে জানাই। তারপর ওই দু’ পুলিশ অফিসার টাকা ফেরত দিতে আমার বাড়িতেও গিয়েছিলেন। আমাকে না পেয়ে ফিরে গেছেন।

রেকসোনা পারভীন আরো বলেন, নাইম মাদকের সাথে জড়িত না। সে ঢাকায় পড়াশোনা করে। কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছে। আমরা গরীব মানুষ। আমার একমাত্র সন্তান নাইমের জীবন পুলিশ শেষ করে দিলো।

নাইমের প্রতিবেশী ও স্থানীয় লোকজন জানান, নাইম মাদকের সঙ্গে জড়িত তা কখনো শোনা যায়নি। ওইদিন একইসঙ্গে নাইমসহ দু’জনকে পুলিশ ধরে থানায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে এএসআই সুজন ফকির ও এএসআই মোঃ ইসমাইল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের নাম ভাঙিয়ে তৃতীয় পক্ষ এই চার হাজার টাকা নিয়েছে। আমরা নেইনি। আর তখন দু’জন না, একজনকেই ধরেছি।

এব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।