নড়াইলের কালিয়ায় বাড়ি লকডাউনের ভয় দেখিয়ে চাঁ*দাবাজির অভিযোগ

0
37
নড়াইলের কালিয়ায় বাড়ি লকডাউনের ভয় দেখিয়ে চাঁ*দাবাজির অভিযোগ
চাঁদাবাজি

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের কালিয়ায় ইউএনওর স্বেচ্ছাসেবক পরিচয়ে বাড়ি লকডাউনের হু*মকি দিয়ে চাঁ*দাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বাগুডাঙ্গা গ্রামে ঘটেছে ওই চাঁ*দাবাজি ও হয়*রানির ঘটনা। ওই ঘটনায় ভু*ক্তোভো*গী রিজাউল সরদার (১৪ এপ্রিল) মঙ্গলবার রাতে উপজেলার নড়াগাতি থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, উপজেলার বাগুডাঙ্গা গ্রামের মৃ*ত লাল মিয়া সরদারের ছেলে রেজাউল সরদার ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানির গাড়ি চালক হিসেবে চাকুরী করেন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক ছুটি ঘোষণার পর ২৪ মার্চ তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন।

ঢাকা থেকে তার বাড়িতে আসার ঘটনাকে পুঁজি করে নিজেদেরকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রমের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছেন। অপরদিকে বিদেশীদের নিকট থেকে চাঁ*দা তুলে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

লিখিত অবিযোগে জানা যায়, ১০এপ্রিল উপজেলার বাগুডাঙ্গা গ্রামের মৃ*ত কওছার শেখের ছেলে সাজিদুল ইসলাম শোভন, কলাবাড়িয়া গ্রামের ইখলাছ সরদারের ছেরে রিয়াজ ও ডুমুরিয়া গ্রামের ফেলু শেখের ছেলে পারভেজ শেখসহ অ*জ্ঞা*তনামা আরো ২জন তার বাড়িতে গিয়ে রিজাউলকে বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করে। তিনি তার সুস্থ্যতা ও ঢাকা থেকে ফেরার দিন জানালেও কথিত ওই স্বেচ্ছা সেবকরা তার কথায় কর্ণপাত করেননি। বরং তাকে তাদের কথামত চলতে বাধ্য করতে চাপ দিতে থাকে।

এক পর্যায়ে তারা রিজাউলের কাছে ১০হাজার টাকা দাবি করে। এরপর তারা নিজেদেরকে ইউএনওর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দাবি করে রিজাউলকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া, মোবাইল কোর্টে সাজা দেয়া ও বাড়ি লকডাউনের ভ*য় দেখিয়ে ২হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় বলে নড়াগাতি থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাকি ৮ হাজার টাকা না পেয়ে ওই স্বেচ্ছাসেবকরা রিজাউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে গত রোববার (১২ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে কালিয়ার ইউএনও মোঃ নাজমুল হুদার সঙ্গে রিজাউলের বাড়িতে যান। তখন কথিত স্বেচ্ছা সেবকদের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণি হওয়ায় ইউএনও ফেরত চলে যান বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

নড়াগাতী থানার ওসি তদন্ত রুহুল আমীন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ কালিয়ার ইউএনও মোঃ নাজমুল হুদা বলেন, ‘আমি কাউকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ করিনি।তবে রিজাউলের বাড়ি গিয়েছিলাম। তাকে সুস্থ্য দেখা গেছে। তাই চলে এসেছিলাম।’