নড়াইল-যশোর সীমান্ত এলাকার চাকই বাজারে দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

0
9
নড়াইল-যশোর সীমান্ত এলাকার চাকই বাজারে দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
নড়াইল-যশোর সীমান্ত এলাকার চাকই বাজারে দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল-যশোর সীমান্ত এলাকার মরিচা-ভবানীপুর-চাকই বাজারে গভীর রাতে হামলা চালিয়ে দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের মধুরগাতী গ্রামের হুমায়ুন কবির দীর্ঘ দিন ধরে ওই বাজারে তেল, মবিল ও চালের ব্যবসা করে আসছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার রাতে কেনাবেচা শেষে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। গভীর রাতে জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন তার দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। হুমায়ুন কবির সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। দেখতে পান তার দোকান ভেঙ্গে তছনছ করা হয়েছে। দোকান ঘরের কাঠের বেড়া ভেঙ্গে ও করাত দিয়ে কেটে অপসারন করা হয়েছে। ঘরের প্রতিটি ঢালাই পিলার ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে সাইনবোর্ড। আসবাবপত্র গুলো পাশের নীচু জায়গায় ছুড়ে ফেলা হয়েছে। কম দামি ও অপ্রয়োজনীয় কিছু মালামাল বাইরে ফেলে দেয়া হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে ক্যাশবাক্সের নগদ প্রায় ৬০ হাজার টাকা, ১শ বস্তা চাল, ২ ব্যারেল ডিজেল সহ দোকানের অন্যান্য মালামাল। ঘটনার পরপরই ওই রাতেই টহল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির বলেন, বাজারে বেশ কিছু সরকারী খাস খতিয়ানের জমি রয়েছে। ওই সব জমিতে অনেকেই দোকান ঘর করে ব্যবসা করছেন। আবার অনেকে দোকান ঘর করে ভাড়া দিয়েছেন। কেউবা আবার সরকারি খাস জমি দখল করে পজিশন বিক্রি করেছেন। সরকারি খান খতিয়ানের জমিতে অন্যান্যদের মত হুমায়ুন কবির দোকান ঘর করে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা করে আসছেন।

স্থানীয় একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্র দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি খাস খতিয়ানের জমি জবর দখল করে বন্দোবস্ত দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। তারা ইতোমধ্যে বেশ কিছু জমি দখল করে সরকারের নিকট হতে বন্দোবস্ত নিয়ে সাধারণ লোকজনের নিকট পজিশন বিক্রি করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ চক্রের অন্যতম হোতা অভয়নগর উপজেলার কোদলা গ্রামের সৌমিত্র রায়। সৌমিত রায়ের নেতৃত্বে সৌমিত্র রায়ের চাচাতো ভাই প্রশান্ত, লিটন ও প্রবীন, সিংগাড়ি গ্রামের মিলু ওরফে কানা মিলু, মরিচা গ্রামের আকিজ সহ কতিপয় সন্ত্রাসী দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।

কেউ তাদের কাজে বাধা দিলে তাদের নানা ভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হয়। সৌমিত্র রায় ওরফে সৌম সরকারি খাস খতিয়ানের এসব জমি দখলের জন্য স্থানীয় ভাবে গড়ে তুলেছেন একটি লাঠিয়াল বাহিনী। প্রতিবাদিদের এ লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে শায়েস্তা করা হয়। আশ-পাশের জমি দখল করার পর এবার তাদের নজর পড়েছে হুমায়ুন কবিরের দোকানের উপর। হুমায়ুন কবির আরোও জানান, তিনি খাস খতিয়ানের ওই দোকানের জায়গা বন্দোবস্ত নেয়ার জন্য ভূমি অফিসে আবেদন করেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে তার দখল স্বত্ত্ব সরাতে সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু চক্র এ হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে। হুমায়ুন কবির দাবি করেন হামলাকারিরা প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে সৌমিত্র রায় ওরফে সৌম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, হুমায়ুন কবিরের দোকানে খুব বেশি মালামাল ছিল না। খুব সামান্য টাকার মালামাল চির। তার দোকানের জায়গার পক্ষে কোন কাগজপত্র নেই। ওই দোকানের জায়গার বন্দোবস্ত’র কাগজপত্র তার ভাই স্বপনের নামে। তাছাড়া তিনি কোন হামলা ও লুটপাট করেননি।