শেষ হলো বাঘারপাড়ার কৃষি মেলা, কৃষি অফিসের উদাসীনতা

0
3
শেষ হলো বাঘারপাড়ার কৃষি মেলা, কৃষি অফিসের উদাসীনতা
শেষ হলো বাঘারপাড়ার কৃষি মেলা, কৃষি অফিসের উদাসীনতা

বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি

গতকাল বৃহষ্পতিবার শেষ হয়েছে যশোরের বাঘারপাড়ায় তিনদিন ব্যাপি কৃষি মেলা। এ মেলায় আনাগোনা থাকার কথা ছিল স্থানীয় কৃষকদের । কৃষি অফিসের প্রচারের অভাবে উপজেলার বেশিরভাগ কৃষক জানেই না এ মেলার কথা।

মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির প্রতিনিধিরা মনে করেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিবছর কৃষি মেলার আয়োজন করা হয় তা এবার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। যাদের জন্য এ মেলার আয়োজন সেই কৃষকরা মেলায় না আসায় এই ব্যর্থতা। গত তিনদিন সরেজমিনে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, উদ্বোধনের দিন গত মঙ্গলবার ও বুধবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় কিছু শিক্ষার্থী দেখা গেছে। মেলার শেষ দিন বৃহস্পতিবার বিকালে প্রদর্শনীর পুরষ্কার,ভর্তুকির পাওয়ার টিলার নিতে কয়েকজন কৃষক ও কয়েকটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের দেখা গেছে।

জামদিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের সুভাষ বিশ্বাস, ঘোড়ানাছ গ্রামের মলয় লস্কর, দোহাকুলার তরিকুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, কৃষিমেলা সম্পর্কে আমরা কিছু জানিনা। তবে শেষ দিনের সমাপনিতে যোগ দেওয়া নারিকেলবাড়িয়ার ক্ষেত্রপালা গ্রামের মোতালেব হোসেন জানান, মেলার প্রথম দুইদিন না আসলেও উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তার অনুরোধে এসেছি।

মেলায় অংশগ্রহণকারি বাঘারপাড়া পৌরসভার ‘কবির ট্রেডার্স’ এসিআই ক্রপ কেয়ার ও অটোক্রপ কেয়ারের জৈব ও রাসায়নিক সার নিয়ে একটি স্টল দিয়েছেন। এছাড়াও ফসলের ছত্রাকনাশক, আগাছানাশক ও ফসল রক্ষাকারি বিভিন্ন কিটনাশকের নমুনা নিয়ে আরেকটি স্টল নিয়েছেন। বিক্রয় প্রতিনিধি ইকবাল হোসেন বলেন,‘তিনদিন ধরে যাদের জন্য বসে আছি কৃষকের উপস্থিতি এখানে নেই বললেই চলে। একই মন্তব্য করেছেন, মিমপেক্স এ্যগ্রো লি: ও ইনতেফা এ্যাগ্রো লিমিটেডের চাড়াভিটা শাখার প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলাম।

মেলায় যশোর থেকে এসেছেন ‘লালতীর সীড লিমিটেড’এর প্রতিনিধি ইব্রহিম শাওন। তিনি হতাশার সুরে বলেন, ‘যাদের জন্য এত বীজ ও প্রচারপত্র নিয়ে একটি স্টল নিলাম সেই কৃষক সল্পতার কারনে কিছু রাজনৈতিক নেতার হাতে প্রচারপত্র দিয়ে ছবি তুলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি’।

গত মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে শুরু হয় এ কৃষিমেলা। মেলায় কৃষিপ্রযুক্তি, পশুখাদ্য, বীজ, মৎস্যখাদ্য, কীটনাশক, কৃষকের উৎপাদিত ফসল, মৌচাষ, ব্যাংকসহ উপজেলার কৃষিসংশ্লিষ্ট সরকারি অধিদপ্তর ও কোম্পানির অংশগ্রহনে বিশটি স্টল তৈরি করা হয়। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার রুহুল আমিনের মোবাইল ফোনে কল করা হলে সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করেননি। যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মঞ্জুরুল হক সাংবাদিকদের জানান, মেলার শেষ দিনে যথেষ্ট কৃষক উপস্থিত ছিলো।