এ্যাওয়ার্ড ব্যবসায়ীদের প্রতারণার ফাদে পড়ে অর্থ খোয়াচ্ছেন শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিরা, নড়াইলে ফিসিং

0
30
এ্যাওয়ার্ড ব্যবসায়ীদের প্রতারণার ফাদে পড়ে অর্থ খোয়াচ্ছেন শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিরা
এ্যাওয়ার্ড ব্যবসায়ীদের প্রতারণার ফাদে পড়ে অর্থ খোয়াচ্ছেন শিক্ষক ও জনপ্রতিনিধিরা

স্টাফ রিপোর্টার

বেশ কয়েকবছর যাবত প্রশাসনের নাকের ডগায় (রাজধানী ঢাকায়) একধরনের প্রতারক চক্র বিভিন্ন নামের সম্মান সূচক এ্যাওয়ার্ড পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে চেয়ারম্যানদের সংগে এধরণের প্রতারণায় মত্ত।

এ প্রতারক চক্র বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তি বা সংগঠনের নামে এ্যাওয়ার্ড প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে চেয়ারম্যানদের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ঢাকা বা পার্শ্ববর্তী দেশের প্রতারক চক্রের সহযোগিতায় সেদেশের যে কোন শহরে নামে মাত্র অনুষ্ঠান করে কন্ট্রিবিউশান ফিসের নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে ওয়াকিবহাল সূত্র থেকে জানা যায়।

সম্প্রতি নড়াইল জেলার সদর উপজেলাধীন শেখহাটী তপনভাগ যুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজম খাঁনকে এধরণের দুইটি এ্যাওয়ার্ড প্রদানের প্রলোভন দেখানো হয় বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রায় দুই মাস আগে তাকে সাউথ এশিয়া সোস্যাল কালচারাল ফোরাম যার ঠিকানাঃ ১৭৩, দিলু রোড, মগবাজার, ঢাকা এবং মোবাইল নম্বর- ০১৭৪৪৮৭৭৭১৩ এর পক্ষ থেকে শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য ”সাউথ এশিয়া গোল্ডেন পীস এ্যাওয়ার্ড-২০২২” নামে এ্যাওয়ার্ড দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। বিনিময়ে ৫ হাজার টাকা ককন্ট্রিবিউশান ফিস দিতে হবে বলে তারা জানান।

পরবর্তীতে ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল নামক আরও একটি প্রতারক চক্র যাদের ঠিকানাঃ ইন্ডিয়ান- ১০৪,গড়ফা, যাদবপুর, কলকাতা। ফোন নম্বর- ৯৮৩৬৫৩২৪৬৩ এবং তাদের বাংলাদেশের ঠিকানাঃ ৮৩/বি, মৌচাক টাওয়ার, (৮ম তলা),কক্ষ নং-৮০৮/এ, মালিবাগ মোড়, ঢাকা-১২১৭ এবং মোবাইল নম্বর – ০১৭৪৪৮৭৭৭১৩ এর পক্ষ থেকে ভারত- বাংলাদেশ বঙ্গ উৎসব এর নামে গত ১০ অক্টোবর -২০২২ তারিখে স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে তাকে ” মহাত্মা গান্ধী পীস এ্যাওয়ার্ড -২০২২” নামে এ্যাওয়ার্ড দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। উল্লেখ্য যে, দুইটি সংগঠনকেই একই মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে দেখা যায়। উক্ত প্রধান শিক্ষক তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘এ এ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য কি করতে হবে? ‘ এ প্রশ্নের জবাবে তার নিকট ২৫ হাজার টাকা কন্ট্রিবিউশান ফিস চাওয়া হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। এছাড়া এ এ্যাওয়ার্ড গ্রহণ এর পর তার সুনাম ছড়িয়ে দেয়ার প্রলোভনও দেখানো হয় বলে তিনি জানান। উক্ত প্রধান শিক্ষক তাদের এ লোভনীয় প্রতারণার প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় প্রাতারক চক্র তাকে এ্যাওয়ার্ড পাওয়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে।