নড়াইলে লালন সাধককে মারধর ও বাদ্যযন্ত্র ভেঙ্গে ফেলার ঘটনার প্রতিবাদ

0
4
নড়াইলে লালন সাধককে মারধর ও বাদ্যযন্ত্র ভেঙ্গে ফেলার ঘটনার প্রতিবাদ
নড়াইলে লালন সাধককে মারধর ও বাদ্যযন্ত্র ভেঙ্গে ফেলার ঘটনার প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলে লালন সাধক হারেজ ফকীরসহ কয়েকজনকে মারধর ও বাদ্যযন্ত্র ভেঙ্গে ফেলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন নড়াইলের সাংস্কৃতিক কর্মীরা। শনিবার (সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, নড়াইলের আয়োজনে নড়াইল প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, নড়াইলের সভাপতি মলয় কুন্ডুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি আসলাম খান লুলু, সাধারন সম্পাদক শরফুল আলম লিটু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও নড়াইল প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক শামীমূল ইসলাম টুলু, জেলা মৎসজীবী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। এদিকে হারেজ ফকীর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন।

বক্তারা বলেন, মৌলবাদীরা বার বার বিভিন্ন সময় বাঙ্গালি সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

অভিযোগে জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াগ্রামের বাসিন্দা হারেজ ফকীর তার ভক্তদের নিয়ে নিজ বাড়ির বাউল আশ্রমে ২৭আগস্ট রাতে গানবাজনা করার সময় স্থানীয় আ’লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান মনি মিয়ার বড়ো ভাই জামায়াত নেতা আলী মিয়ার নেতৃত্বে ২০-২৫জনের একটি দল বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে মারধর, হারমোনিয়ামসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র ভাংচুর করে। এ ঘটনায় হারেজ ফকীর বুধবার কালিয়া থানায় আলী মিয়া, মিন্টু শেখসহ অজ্ঞাত ২০-২৫জনের বিরুদ্ধে জিডি করলে পরদিন বৃহস্পতিবার আসামিরা স্থানীয় ইসমাইল চৌকিদারসহ ৪জনকে মারধর করে। আসামীদের অভিযোগ ছিল হারেজ গাঁজা সেবন ও ব্যবসার সাথে জড়িত।

হারেজ ফকীর এ লিখিত অভিযোগ তুলে নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও তার ছেলে মিজান ফকীর বলেছেন স্থানীয় চাপে মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে কালিয়া থানার ওসি শেখ তাসমীম আলম বলেন, আসামি আলী মিয়া ও মিন্টু শেখ মুচলেকা দেবার শর্তে হারেজ ফকীর শনিবার বিকেলে লিখিত অভিযোগ তুলে নিয়েছেন। আসামিরা লিখিত মুচলেকায় বাদ্যযন্ত্র ভাঙ্গার কথা স্বীকার করেছেন এবং পরবর্তীতে এ ধরণের ঘটনা ঘটবে না ও ভাংচুরকৃত বাদ্যযন্ত্র ক্রয় করে দেবেন মর্মে অঙ্গিকার করেছেন। অঙ্গিকার ভঙ্গ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক প্রশ্নে ওসি হারেজ গাঁজা সেবন বা ব্যবসার সাথে জড়িত কিনা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে জানান।