রাতে তেলের দাম বৃদ্ধিতে নড়াইলের পাম্পগুলোর ম্যানেজার-কর্মচারি সটকে পড়ে, ভোগান্তি!

0
19
রাতে তেলের দাম বৃদ্ধিতে নড়াইলের পাম্পগুলোর ম্যানেজার-কর্মচারি সটকে পড়ে, ভোগান্তি!
রাতে তেলের দাম বৃদ্ধিতে নড়াইলের পাম্পগুলোর ম্যানেজার-কর্মচারি সটকে পড়ে, ভোগান্তি!

স্টাফ রিপোর্টার

অক্টেন, প্রেট্রোল, ডিজেল ও কোরোসিন তেলের দাম বৃদ্ধির দুই ঘন্টা আগে থেকেই নড়াইলের পাম্পগুলোতে তেল বিক্রির সাথে জড়িত ম্যানেজার-কর্মচারি পাম্প থেকে সটকে পড়ে। অধিক মুনাফার আশায় পাম্পগুলোতে তেল থাকা সত্ত্বেও আগের দামে তেল না দিয়ে তারা পাম্প ছেড়ে পালিয়ে যায়। এসব পাম্পে প্রয়োজনের তাগিদে জ্বালানি তেল নিতে আসা অনেক মানুষ এসেও তেল পায়নি। ফলে তারা চরম দূর্ভোগের শিকার হয়। অনেকে সারা রাত পাম্পের সামনে বসে থেকে শনিবার সকালে নতুন দামে তেল নিয়ে গন্তব্য স্থানে যান।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শহর ও শহরতলির ৪টি পাম্পে গিয়ে দেখা যায় কোন পাম্পই খোলা ছিলনা। পাম্পের সামনে জ্বালানি তেল নিতে আসা অনেক মানুষ বসে ছিলেন। এ সময় পাম্পগুলোর সামনে পুলিশের দল টহল দিতে দেখা যায়।

নড়াইলের দিঘলিয়া গ্রামের আবু বকর জানান, তিনি যশোর থেকে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে নড়াইলের শহরতলি সীতারামপুরে অবস্থিত সর্দার ফিলিং স্টেশন-১ এ এসে কাওকে দেখতে না পেয়ে শহরের পান্না পেট্রোলিয়াম পাম্পে এসেও দেখেন একই অবস্থা। পরে সারা তিনি পেট্রলের আসায় বসে থাকলেও জ্বালানি তেল কিনতে পারেননি। মোটরসাইকেলের তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় ৩০ কিঃমি দূরের বাড়িতে আর বাড়িতে ফিরতে পারেননি।
যশোর শংকরপুর গ্রামের নসিমন চালক জরুরি কাজে মালামাল নিয়ে নড়াইলে এসেছিলেন। ১০টার দিকে গিয়ে দেখেন পাম্প বন্ধ। ডিজেল না পেয়ে রাত ১টার সময়ও শহরের মাছিমদিয়ায় অবস্থিত সর্দার ফিলিং স্টেশন-২ এর সামনে বসে ছিলেন।

সদরের দত্তপাড়া গ্রামের সাগর মোল্যা যশোর থেকে রাত ১১টার দিকে নড়াইলে আসলে জ¦ালানি তেল ফুরিয়ে যায়। এ সময় নড়াইল-যশোর সড়কের সর্দার পাম্প ও এর পার্শ্ববর্তী পিষন ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখেন পাম্পে কেউ নেই। সর্বশেষ তার সাথে ১টার সময় কথা হয়নি তেল না পেয়ে পাম্পের সামনে বসে ছিলেন।

এ ব্যাপারে সর্দার ফিলিং স্টেশনের সামনে অবস্থান করা সদর থানার এস.আই আবুল কালামকে শুক্রবার রাত ১টার দিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কিছু সময় আগে এসে পাম্পের কোনো লোককে পাওয়া যায়নি। পরে তিনি এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খণিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ৮০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১শ ১৪ টাকা, প্রেট্রোল ৮৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১শ৩০ টাকা এবং অক্টেন ৮৯টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩৫টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।