স্কুলের জমিতে প্রধান শিক্ষকের বাড়ি! জড়িতদের শাস্তির দাবি

0
5
স্কুলের জমিতে প্রধান শিক্ষকের বাড়ি! জড়িতদের শাস্তির দাবি
স্কুলের জমিতে প্রধান শিক্ষকের বাড়ি! জড়িতদের শাস্তির দাবি

স্টাফ রিপোর্টার

ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ ওঠেছে এ স্কুলের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক একেএম মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌসের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষক ও জমি দখলে সহায়তাকারী বর্তমান স্কুল কমিটি বাতিলের জোরালো দাবি জানিয়েছেন স্কুলের সচেতন অভিভাবক পরিষদ।

সচেতন অভিভাবক পরিষদের আহবায়ক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইকরাম হোসেন খান মামুন সোমবার (১৮ জুলাই) বিকালে গৌরীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সচেতন অভিভাবক পরিষদের উপদেষ্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ম. নুরুল ইসলাম, সদস্য সচিব কামাল হোসেন, স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক নন্দ দুলাল সরকার, সদস্য আব্দুস সালাম, সাদেকুল ইসলাম প্রমুখ।

ইকরাম হোসেন খান মামুন জানান- উল্লেখিত স্কুলের প্রধান শিক্ষক একেএম মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌস একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তিনি যৌন হয়রানীর অভিযোগে একাধিকবার বিভাগীয় শাস্তি ভোগ করেন। স্থানীয় এক শিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনায় কারাভোগের পাশাপাশি সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে স্কুলের জমি দখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে রক্ষক হয়ে ভক্ষক সেজেছেন। এক্ষেত্রে রাতের আঁধারে তড়িঘড়ি করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে তাকে সহযোগিতা করেন স্কুলের এসএমসি সভাপতি মোঃ মাহবুব আলম ও পিটিএ সভাপতি নিজাম উদ্দিন বাবুল।

একের পর এক বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়ে প্রধান শিক্ষক ও একই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা তার স্ত্রী রোজি সুলতানা ঐতিহ্যবাহী এ মডেল স্কুলের সুনাম ক্ষুন্ন করে আসছেন। সুষ্ঠ তদন্তসাপেক্ষে বিতর্কিত প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও স্কুলের জমি দখলে সহায়তাকারী বর্তমান কমিটি বাতিলের দাবি করেন ইকরাম হোসেন মামুন।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক একেএম মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান- তার বিরুদ্ধে স্কুলের জমি দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি নিজের জমিতে বাড়ি নির্মাণ করছেন। স্থানীয় একটি কু-চক্রী মহল তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছেন বলে দাবি করেন এই শিক্ষক।

স্কুলের এসএমসি কমিটির সভাপতি মাহবুব আলম ও পিটিএ কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিন বাবুল সাংবাদিকদের জানান- বিদ্যালয়ের জমি রক্ষায় তাঁরা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছেন। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন এ কাজে বাঁধা দিয়ে বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন সাংবাদিকদের জানান- গত ২৩ জুন স্কুলের এসএমসির সাবেক সদস্য কামাল হোসেন প্রধান শিক্ষক একেএম মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌসের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জমি দখল করে ভবন নির্মাণ করছেন এই মর্মে লিখিত অভিযোগ করেন। এ অভিযোগের তদন্ত চলাকালীন সময়ে বিনা অনুমতিতে তড়িঘড়ি করে স্কুলের একাংশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে শোকজ ও কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অফিসিয়াল তদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা বলে সাংবাদিকদের জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।