নড়াইলে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার একনেকে অনুমোদন

0
21
নড়াইলে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার একনেকে অনুমোদন
নড়াইলে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার একনেকে অনুমোদন

প্রধানমন্ত্রীকে মাশরাফীর ধন্যবাদ জ্ঞাপন

স্টাফ রিপোর্টার

অবশেষে বহুল প্রত্যাশিত নড়াইলে ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার।’ একনেকে অনুমোদন হয়েছে। নড়াইল-লোহাগড়া সড়কের পাশে শহরতলি সীমাখালী মৌজার মালিবাগ মোড়ে ৪.৭৭ একর জমিতে প্রতিষ্ঠিত হবে এই আইটি সেন্টার। এটির অনুমোদন দেওয়ায় নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা তার ফেসবুক পেইজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ,তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) শনিবার (২১মে) চূড়ান্ত অনুমোদন হওয়ায় নড়াইল শহরে ছাত্রলীগ আনন্দ মিছিল বের করে এবং শহরে যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা জনসাধারণের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন।

এমপি আশাবাদ ব্যক্ত করে ফেসবুকে লিখেছেন, এখন খুব দ্রত সময়ের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে ন্যূনতম এসএসসি/সমমান পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আইটি বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা তৈরি হবে, স্টার্ট আপদের সহায়তা প্রদান করা হবে এবং আইটি/আইটিইএস সেক্টরে যুবসমাজের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করবে ও তরুণ প্রজন্ম বিশ্বমানের হিসেবে গড়ে উঠবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মাশরাফি বিন মুর্তজা এমপি নির্বাচিত হবার ২মাস পর নড়াইলের শহরতলি সীমাখালী-রঘুনাথপুর মৌজায় ৪.৭৭ একর জায়গার ওপর শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন স্থাপনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২০১৯ সালের ১৯মে প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন একান্ত সচিব-১ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া স্বাক্ষরিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুপারিশকৃত একটি পত্রে আইটি সেন্টার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়। কিন্ত জেলা প্রশাসন সে সময় নির্ধারিত জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে না পারায় নড়াইলে আইটি সেন্টার পাশ হয়নি।

জানা যায়, আইটি সেন্টারের নির্ধারিত ওই জায়গা নিয়ে ব্যক্তির সাথে সরকারের মামলা থাকায় ১ম ধাপে আইটি সেন্টার অনুমোদন হয়নি। তখন এমপি নিজে উদ্যোগি হয়ে জমির বাদি পক্ষের সাথে সরাসরি কথা এবং ম্যানেজ করার পর মামলা প্রত্যাহার করলে আইটি সেন্টার হবার ক্ষেত্রে বাঁধা কেটে যায়। নড়াইলের আইটি ট্রেনিং সেন্টারসহ ২য় ধাপে মোট ১৪টি আইটি ট্রেনিং সেন্টার অনুমোদন পেয়েছে, যার সর্বমোট প্রকল্প ব্যয় ১১১৪.৬২৭৬ কোটি টাকা।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ফকরুল হাসান বলেন, নড়াইলে ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার একনেকে পাশ হবার বিষয়টি আমরা জানি। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি আমরা পাইনি।