অনিয়ম-দুর্নীতিঃ গৌরীপুরে বিধি-বহির্ভূতভাবে সহ-সুপার নিয়োগ!

0
4
অনিয়ম-দুর্নীতিঃ গৌরীপুরে বিধি-বহির্ভূতভাবে সহ-সুপার নিয়োগ
অনিয়ম-দুর্নীতিঃ গৌরীপুরে বিধি-বহির্ভূতভাবে সহ-সুপার নিয়োগ

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিধি-বহির্ভূতভাবে মোঃ আব্দুস সাত্তার নামে এক ইবতেদায়ী শিক্ষককে মাদ্রাসার সহ-সুপার পদে নিয়োগদানের অভিযোগ ওঠেছে। এ অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার চূড়ালী ইসহাক উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসায়। এ ব্যাপারে পাঁচ বছরপূর্বে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।

অভিযোগে প্রকাশ, মোঃ আব্দুস সাত্তার ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ড. আব্দুল্লাহ উমর নাসিফ দাখিল মাদ্রাসায় (কাগচর) ইবতেদায়ী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন ( ইনডেক্স নং-ইবি-৩৪৩১১৪)। এরপর ২০১১ সনে সম্পূর্ণ বিধি-বহির্ভূতভাবে তাকে একই জেলার গৌরীপুর উপজেলার চূড়ালী ইসহাক উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসায় সহ-সুপার হিসেবে নিয়োগদান করেন সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কমিটি (ইনডেক্স নং-এ এসইউপি এন২১০৩৫৬৫)। এক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক একজন ইবতেদায়ী শিক্ষক কখনও মাদ্রাসার সহ-সুপার হিসেবে যোগদান করতে পারে না।

জানা গেছে, এ অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনায় উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের স্থানীয় আবাল হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ২০১৭ সনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে লিখিত আদেশ দেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ আদেশে ২০১৭ সনের ৬ আগস্ট তৎকালীন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল আলম উল্লেখিত মাদ্রাসার সহ-সুপার আব্দুস সাত্তারকে চারদিনের মধ্যে চাকুরির নিয়োগপ্রাপ্তির প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র উপস্থাপন করার জন্য লিখিত চিঠি দেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে অদ্যবধি পর্যন্ত মোঃ আব্দুস সাত্তার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে চাকুরির প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজপত্র উপস্থাপন করেনি। এক্ষেত্রে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে রহস্যজনক কারনে নিরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে চূড়ালী ইসহাক উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সহ সুপার মোঃ আব্দুস সাত্তারের কাছে মন্তব্য জানতে চাইলে, তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে লিখিতভাবে উনার মন্তব্য জমা দেয়ার কথা বলেও প্রায় একমাস অতিবাহিত হলেও তা জমা দেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৎকালীন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিযোগটি অনেকদিন আগের, আমার সঠিক মনে নেই। তবে এবিষয়ে সকল তথ্য অফিসের ফাইলে রক্ষিত আছে।’
সদ্য যোগদানকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগের বিষয়ে উল্লেখিত মাদ্রাসার সহ-সুপার মোঃ আব্দুস সাত্তারের উপস্থাপন করা কোন কাগজপত্র অফিসের ফাইলে রক্ষিত নেই। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখে পনের দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহন করবেন বলে সাংবাদিকদের আশ^স্ত করেন।

এদিকে প্রায় একমাস অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারনে সাংবাদিকদের কাছে সহ-সুপার মোঃ আব্দুস সাত্তারের চাকুরির বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করতে পারেনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম।