লোহাগড়ায় খেলার মাঠ দখলে পায়তারা চালাচ্ছে প্রভাবশালীরা, খেলোয়াড় ও স্থানীয়দের ক্ষোভ

0
8
খেলার মাঠ দখলে পায়তারা চালাচ্ছে প্রভাবশালীরা, খেলোয়াড় ও স্থানীয়দের ক্ষোভ
খেলার মাঠ দখলে পায়তারা চালাচ্ছে প্রভাবশালীরা, খেলোয়াড় ও স্থানীয়দের ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের লোহাগড়ায় খেলার মাঠ দখলে পায়তারা চালাচ্ছে প্রভাবশালীরা এএতে খেলোয়াড় ও স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, একটি কুচক্রী মহল ইতনা গ্রামের মধ্যপাড়ার খেলার মাঠটি কবরস্থানের নামে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। দীর্ঘ ৪ পুরষের খেলার মাঠ হিসেবে পরিচিত মাঠটি ভুমি দস্যুদের অপকৌশলে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হতে চলেছে কোমলমতি শিশুরা। মাঠটির দুই পাশে ইতিমধ্যে পাকা বাউন্ডারী নির্মান করা শুরু হয়েছে। মাঠের চার পাশ থেকে অপকৌশলে বাদ রাখা হয়েছে বেশ কিছু জমি। মাঠের মাঝে রাখা হয়েছে ইটের খোয়া ও বালুর স্তুপ। মাঠে যাতে শিশুরা খেলতে না পারে সে জন্য মাঠে ছড়িয়ে রাখা হয়েছে ইটের খোয়া । অভিযোগকারীরা জানান, তাদের দাদা,বাবা-চাচারা, তারা নিজেরা ও তাদের সন্তানেরা বংশ পরম্পপরায় এই মাঠে খেলাধুলা করে আসছেন । বর্তমানে খেলার মাঠটি ইতনার একটি কুচক্রী মহল কব/রস্থানের নামে দখল করার পায়তারা চালাচ্ছে।

এলাকাবাসী সৈয়দ জাফর আলী, মোল্যা আঃ রউফ সহ আরো অনেকে বলেন, ইতনা গ্রামের তছলিম উদ্দিন সরদারের ছেলে মোঃ লিপু সরদার, গ্রামের শাহীন সরদার সহ ৫/৬ জন এই খেলার মাঠটিকে কবরস্থানের নাম করে নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সরকারি খ” তফসিল ভুক্ত জমিতে গড়ে উঠেছে খেলার মাঠটি। পূর্বে খেলার মাঠটি ইসাকের মাঠ ও পরবর্তীতে ইতনা ইউনাইটেড ক্লাবের মাঠ নামে পরিচিতি রয়েছে। কি কারণে এই খেলার মাঠ দখল করে কবরস্থান তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে সেটা সকলে বুঝলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা কেউ। আমরা মহল্লাবাসী শিশুদের খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত করে মাঠটিকে কবরস্থান বানাতে দিতে চাইনা। গ্রামে কবরস্থান রয়েছে। তারপরও যদি কবরস্থান বানাতে হয় এই মৌজায় অনেক খাস জমি রয়েছে, সেই জমিতে ক/বরস্থান তৈরিতে আমাদের কোন আপত্তি নাই।

মাঠে নিয়মিত খেলাধুলা করে এমন কয়েকজন কিশোর খেলোয়াড় মারুফ, তামিম, জাকারিয়া, সাকিম, সায়েম সহ আরো ১০/১৫ জন খেলোয়ার বলেন, আমরা এই মাঠে প্রতিদিন খেলা ধুলা করি। আমাদের প্রায়ই গ্রামের কিছু লোক খেলাধুলা করতে বাধা দেন। মাঠে যাতে খেলতে না পারি সে জন্য ইটের খোযা ছড়িয়ে রাখে তারা। শুনছি এখানে নাকি কবরস্থান বানাবে। তাহলে আমরা কোথায় খেলাধুলা করবো ? আমাদের প্রানের দাবি ক্যাপ্টেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাসহ সরকারের সকল মহলে, যেন আমাদের খেলার মাঠটি অপকৌশলে কেউ দখলে নিতে না পারে। সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার।

ইতনা কেন্দ্রীয় কবরস্থান কমিটির সভাপতি সামুক্তাগিনি লিপু সরদারর সংগে কথা হলে তিনি বলেন জোর করে খেলার মাঠ দখল করার প্রশ্ন উঠে না। গ্রাম বাসি যেখানে জায়গা দিবে সেখানেই গড়ে উঠবে কবরস্থান।

লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদটি শুন্য থাকায় এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোসলিনা পারভিনের সাথে। তিনি জানান, বিষযটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানানো আছে তবে মাঠের দক্ষিণ পাশে ক/বরস্থানের জায়গায় কব/রস্থান থাকবে এবং খেলার মাঠ যেটুকু বাচ্চারা খেলে সেটুকু খেলার মাঠই থাকবে।