নড়াইলে দায়বাড়ি খালের ৭শ’ মিঃ পূনঃখননের অভাবে ১শ একর জমিতে সারা বছর জলাবদ্ধতা

0
2
নড়াইলে দায়বাড়ি খালের ৭শ' মিঃ পূনঃখননের অভাবে ১শ একর জমিতে সারা বছর জলাবদ্ধতা
নড়াইলে দায়বাড়ি খালের ৭শ' মিঃ পূনঃখননের অভাবে ১শ একর জমিতে সারা বছর জলাবদ্ধতা

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল সদরের রামচন্দ্রপুর গ্রামের দায়বাড়ি খালের মাত্র ৭শ মিটার পূনঃখননের অভাবে ১শ একর জমিতে প্রায় সারা বছরই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এবারও বোরা আবাদ করতে পারেননি দু’গ্রামের কৃষকরা। ফলে স্থানীয় কৃষকরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। খালটি পূনঃখননের দাবিতে রোববার (৬ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রামচন্দ্রপুর ও ষড়াতলা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ খালের পাশে এ মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, ক্ষতিগ্রস্থ ইউপি সদস্য মাহমুদ শেখ, এমদাদুল মোল্যা, শাহিন শেখ, মনা মিয়া, শরীফ হোসেন প্রমুখ।

জানা গেছে, সদরের আউড়িয়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ও ষড়াতলা গ্রামের ভীতর দিয়ে দায়বাড়ি খাল বিলে প্রবেশ করে পার্শ্ববর্তী হাওয়াইখালী ব্রীজের কাছে লাইনের খালে গিয়ে মিশেছে। গত ১৫ বছর খালের ৭শ মিটার জায়গা পূনঃখননের অভাবে ওই অংশে মাটি ভরাট হয়ে সরু নালায় পরিণত হয়েছে। ফলে এক’শ এশর জমির পানি খালে নামতে পারছে না।

আউড়িয়া ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর মাহমুদ শেখ বলেন, এ পানি সরতে না পারায় রামচন্দ্রপুর ও ষড়াতলা বিলের এক’শ এশর জমির জলাবদ্ধতা কিছুতেই দুর হচ্ছে না। ফলে কৃষকেরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আমাদের জোর দাবি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।

স্থানীয় এমদাদুল মোল্যা জানান, ১৪-১৫ বছর আগে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান দায়বাড়ি খালটি খনন করিয়েছিলেন। তারপর আর খনন করা হয়নি। ফলে এখানকার পানি পার্শ্ববর্তী লাইনের খালে গিয়ে পড়তে পারছে না। ফলে প্রায় সারা বছরই এনানকার পানি জলাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে।

শাহিন শেখ বলেন, আমাদের রামচন্দ্রপুর গ্রামের পূর্ব-ডোবার বিল ও পশ্চিম ডোবার বিলে প্রায় সারা বছর জলাবদ্ধতা থাকে। ফলে জমিতে কোন ফসল হয় না। বিধায় এলাকার ৪শ পরিবার ক্ষতির মুখে পড়েছে। আমাদের দাবি, মাত্র ৭শ মিটার খাল পূনঃখনন করে রামচন্দ্রপুর এলাকার জলাবদ্ধতা দুর করা হোক।

এ ব্যাপারে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জল সেন বলেন, এ খাল সংস্কারের জন্য স্থানীয় লোকজন কয়েক মাস আগে অফিসে এসেছিল। খালটি পূনঃসংস্কারের জন্য অন্তর্ভূক্ত করা আছে। অনুমোদন হলে খালটি পূনঃখনন করা হবে বলে জানান।