সৌদি থেকে এসে দেখেন বাড়ি তালা দিয়ে কোটি টাকা নিয়ে উধাও স্ত্রী!

0
146
সৌদি থেকে এসে দেখেন বাড়ি তালা দিয়ে কোটি টাকা নিয়ে উধাও স্ত্রী!
সৌদি থেকে এসে দেখেন বাড়ি তালা দিয়ে কোটি টাকা নিয়ে উধাও স্ত্রী!

স্টাফ রিপোর্টার

মোঃ ইমরুল লস্কর সৌদি আরব থেকে এসে দেখেন গ্রামের বাড়ি তালা দিয়ে প্রায় কোটি টাকা নিয়ে উধাও স্ত্রী ফাতেমা বেগম। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বিলবাউস গ্রামে। মোহাম্মদ ইমরল লস্কর মৃ/ত ইয়ার আলী লস্করের ছেলে। স্ত্রী ফাতেমা বেগম একই গ্রামের আলহাজ্ব হাসেম শেখের কন্যা।

ইমরুল অস্কার অভিযোগ করে বলেন সৌদিআরব থেকে আজ সকালে বাড়িতে এসে দেখি গেটে তালা দেওয়া। পাশে আমার শ্বশুরবাড়ি সেখানে যেয়ে আমার শশুর আলহাজ্ব হাসেম শেখ ও শাশুড়ী ভ্যাগা বেগমের কাছে স্ত্রীর কথা জানতে চাইলে বলেন জানিনা কোথায় গেছে।

ইমরুল লস্কর আরো বলেন ২০০২ সালে ফাতেমার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক হয় পরে বিবাহ করি। ২০০৭ সালে আমি বিদেশ সৌদি আরবে যাই। সেখান থেকে আমি আমার স্ত্রীর নামে দীর্ঘ ২০ বছরে ৯৭ লক্ষ টাকা পাঠাই। এছাড়াও আমার নামে বাড়ি করার জন্য গ্রামে ১৩ শতক জমি ক্রয় করতে বলি সেটাও তার নামে রেজিস্ট্রি করেছে। আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি আমি এর বিচার চাই।

মোঃ ইমরুল লস্ককরের এই অবস্থা দেখে প্রতিবেশীরা ফাতেমা বেগমের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন,মোঃ মুজিবর মোল্য, লিটন লস্কর,আব্বাস লস্কর,মনিরুল লস্কর,মিজানুর লস্কর, লাভলী বেগম, ফাতেমা বেগম, শারমিন সুলতানা প্রমূখ।

প্রতিবেশী মুজিবর মোলা বলেন, কয়েকদিন বাড়ির বিল্ডিং ও সীমানা প্রাচীরের গেটে তালা দেওয়া দেখতে পাই। তিনি আরো বলেন কালিয়ার চাদপুর গ্রামের কারেন্ট মিস্ত্রি কবিরের সাথে তার একটা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সম্ভবত তার কাছে চলে গেছে। মহিলারা বলেন আমরা এই বেইমান ফাতেমা বেগমের বিচার চাই আপনাদের মাধ্যমে।

এ বিষয়ে ফাতেমা বেগমের কাছে জানতে ফোন করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফাতেমা বেগমের মাতা ও পিতা হাসেম মোল্যার কাছে জানতে চাইলে জানান মেয়ে ফাতেমা কোথায় গেছে জানিনা । তবে আমার জামাই ইমরুল তার নামে টাকা পয়সা পাঠাতো ও বাড়ি ক্রয় করে দিয়েছে। ৯৭ লক্ষ টাকা কিনা জানতে চাইলে পিতা-মাতা বলেন ৯৭ লক্ষ টাকা হবে কিনা জানিনা তবে তাকে তার নামে টাকা পাঠিয়েছে বাড়ি ও ক্রয় করে দিয়েছে স্বীকার করেন। এ বিষয়ে জানতে কালিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কনি মিয়া শেখ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।