নড়াইল জেলা যুবলীগ: সভাপতি-সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের দৌঁড়-ঝাপ

0
24
নড়াইল জেলা যুবলীগ: সভাপতি-সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের দৌঁড়-ঝাপ
নড়াইল জেলা যুবলীগ: সভাপতি-সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের দৌঁড়-ঝাপ

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল জেলা যুবলীগের কমিটি গঠন নিয়ে দৌড়-ঝাপ শুরু হয়েছে। কমিটি গঠনের ঘোষণা দেওয়ায় নড়ে-চড়ে বসছেন পদ প্রত্যাশীরা। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন সভাপতি-সম্পাদক পদ প্রার্থীরা। তবে করা হচ্ছেন জেলা যুবলীগের আগামী দিনের কর্ণধর তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে কমিটি ঘোষনা পর্যন্তু।

সূত্র জানায়, তিন মাসের আহ্বায়ক কমিটি গঠনে পর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে কোন ইউনিটের কমিটি গঠন করতে পারেনি। দির্ঘদিন পর গত ২৯ অক্টোবর কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা ঘোষনা দেন ৩ মাসের মধ্যে ইউনিট কমিটির সম্মেলন করতে না পারলে জানুয়ারি ২২ সালে নতুন কমিটি গঠন করা হবে।

এরই ধারাবাহিতকায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের পক্ষ থেকে নড়াইল জেলা যুবলীগের সভাপতি- সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলী যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এক জানুয়ারি স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামীলী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারন সম্পাদক আলহ্বাজ মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর নির্দেশ ক্রমে নড়াইল জেলার সভাপতি-সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের জীবন বৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়েছে। ৩ থেকে আজ ৬ জুয়ারি পর্যন্তু দুপুর ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্তু ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনউ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দপ্তর শাখায় জীবন বৃত্তান্ত জমা নেওয়া হবে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৫ সালের ১৮ অক্টোবর জেলা যুব লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে নিজাম উদ্দিন খান নিলু সভাপতি এবং বাবুল সাহা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত নির্বাচিত হন। এর ১০ বছর পর ২০০৫ সালের ৩ মার্চ বাবুল সাহাকে আহবায়ক করে গঠিত হয় ৬৫ সদস্য আহবায়ক কমিটি।

এর ১৩ বছর পর সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৪ মার্চ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামানকে আহবায়ক ও মোঃ ফরহাদ হোসেন, গাউসুল আজম মাসুম এবং মাহফুজুর রহমান মাহফুজকে যুগ্ম আহবায়ক করে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি এখনও বহাল রয়েছে।

জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পদে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক সাবেক ভিপি গাউসুল আজম মাসুম, যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান, জেলা যুবলীগের সদস্য মাসুদুর রহমান গুলু, কামরুল ইসলামের নাম শোনা যাচ্ছে।

সাধারন সম্পাদক পদে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সৌমেন বসু, জেলা যুবলীগের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন ইকবাল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ তোফায়েল মাহমুদ তুফান ও আবু সুফিয়ান বাহারের নাম শোনা যাচ্ছে।

সভাপতি-সম্পাদক পদ প্রত্যাশীরা সকলেই আশাবাদি, তবে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যাচাই-বাছায় করে যাকে সভাপতি-সম্পাদক মনোনিত করবেন তাকেই সকলে মেনে নেবেন বলে পদ প্রত্যাশীরা জানায়।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সৌমেন বসু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহিদ শেখ ফজলুল হক মনির সুযোগ্য সন্তান বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ভাই ও সুযোগ্য সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল ভাইয়ের নেতৃত্বে যুবলীগ তার গৌরবময় ইতিহাসকে সমুন্নত রাখতে সারাদেশে একটি সুসংগঠিত ও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে এগিয়ে চলছে। খুলনা বিভাগে যুবলীগ জাতির পিতার ভ্রাতুষ্পুত্র, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য শেখ সোহেল ভাইয়ের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। যার ধারাবাহিকতায় দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগের কয়েকটি জেলায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের লক্ষে ইতোমধ্যে সিভি আহবান করা হয়েছে। কিছুদিন আগে আমাদের নড়াইল জেলায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্মানিত নেতৃবৃন্দ বর্ধিত সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে বর্তমান সুযোগ্য নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে যুবলীগের এই অগ্রযাত্রায় একজন সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে আমিও কাজ করতে চাই। আমাদের জন্মভূমি নড়াইল জেলা যুবলীগকে সুসংগঠিত করতে চাই। যার অংশ হিসেবে আমিও সিভি জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাকে যোগ্য কর্মী বিবেচনা করে দায়িত্ব অর্পণ করেন তাহলে আমি জেলা যুবলীগকে নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের মতো সুসংগঠিত করার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কাজ করবো।

আর নেতৃত্বে যেই আসুক না কেন, আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চাই, এটাই আমার কাছে বড় কথা। আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে, তবে যেন তা প্রতিহিংসায় রূপায়িত না হয়, তা মাথায় রেখে আমরা কাঁধে কাধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করবো।

জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান মাহফুজ বলেন, ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনিতী করে আসছি। বিভিন্ন সময়ে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিতদের হাতে হামলা-মামলার স্বিকার হয়েছি। তবুও সংগঠনের সাথে কাজ করেছি। কেন্দ্রীয় নেতৃবন্দ আমাকে সভাপতি করবেন বলে আমি আশাবাদি।

জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাবেক ভিপি গাউসুল আজম মাসুমবলেন, ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনিতী করে আসছি, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের নির্বাচিত ভিপি ছিলাম, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলাম, বর্তমান জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছি।

বিভিন্ন সময়ে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিতদের হাতে হামলা-মামলার স্বিকার হয়ে বারবার কারাবরণ করতে হয়েছে। রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত বিশ্লেষন করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমাকে সভাপতি করবেন বলে আমি আশাকরছি। মাঠে থেকে রাজনীতি করে তাদের মধ্য থেকেই কমিটি গঠনেরও দাবি করেন তিনি।