খাজনা দিতে ৩০ কিলোমিটার ঘুরতে হয় নড়াইলের বিছালী ইউনিয়নের মানুষদের

3
9
খাজনা দিতে ৩০ কিলোমিটার ঘুরতে হয় নড়াইলে বিছালী ইউনিয়নের মানুষদের
খাজনা দিতে ৩০ কিলোমিটার ঘুরতে হয় নড়াইলের বিছালী ইউনিয়নের মানুষদের

স্টাফ রিপোর্টার

ইউনিয়নের এক প্রান্তে ভূমি অফিস। খাজনা পরিশোধে ৩০ কিলোমিটার ঘুরতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রতিনিয়ত এমন জনদুর্ভোগের শি/কার হচ্ছেন নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের ৩৫ হাজার মানুষ। দুর্ভোগের হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকাবাসি ভূমি অফিস ইউনিয়নের মধ্য স্থানে নির্মাণের দাবি করেছেন। বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হেমায়েত হুসাইন ফারুক জনদুর্ভোগ নিরসনে ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে ভূমি অফিস নির্মাণে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়ন জেলার শেষ প্রান্তে অবস্থিত। দক্ষিণে খুলনার ফুলতলা, পশ্চিমে যশোরের অভয়নগর, পূর্বপাশে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের সীমানা। ১২টি গ্রাম নিয়ে ইউনিয়ন গঠিত। ৩৫ হাজার মানুষ এখানে বসবাস করেন। ইউনিয়নের ভূমি অফিসটি আড়পাড়া সংলগ্ন মির্জাপুর বাজারে। ভবনটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সরকারি কাগজপত্র সংরক্ষণে রাখতে ঝুঁকি রয়েছে।

নতুন ভবন নির্মাণে ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আড়পাড়া-মির্জাপুর গ্রামের কুটিরভিটা নামক স্থানে সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। যার মৌজা নম্বর ১৮৯,আড়পাড়া-মির্জাপুর ১ নম্বর খতিয়ানের ৫৩৩৩ দাগের জমির পরিমাণ ২৯ শতাংশ।

আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. সজল শেখ বলেন এক সপ্তাহ আগে নায়েব অফিসের (ভূমি অফিস)লোকজন এখানে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,ভূমি অফিসটির সাইনবোর্ড ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে। অফিসটি ইউনিয়নের মাঝখানে হলে সকলের জন্য ভালো।

ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা মো.সোহেল বলেন,নতুন ভূমি অফিস নির্মাণের জন্য আগের চেয়ারম্যান মো,আনিচুর রহমান আড়পাড়া-মির্জাপুর মৌজার কুটিরভিটায় সাইনবোর্ড টানানোর নির্দেশ দিলে আমরা সেখানে লাগাই। তিনি বলেন,এখানে ভূমি অফিস হলে ইউনিয়নের এক কোনায় হয়ে যায়। ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে হলে ভালো হয়। তিনি বলেন, ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থান হলো চাকই-মধুরগাতি।

বিগত চেয়ারম্যান মোঃ আনিচুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে ফোন বন্দ পাওয়া যায়।
বর্তমান চেয়ারম্যান মো.হেমায়েত হুসাইন ফারুক বলেন, ইউনিয়নবাসির জনদুর্ভোগের কথা ভেবে ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থান চাকই-মধুরগাতি গ্রামে ভূমি অফিসের নতুন ভবন নির্মাণে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছি। আশা করছি জেলা প্রশাসক ইউনিয়নবাসির জনদুর্ভোগের বিষয়টি অনুধাবন করবেন।

জেলা প্রশাসক মো.হাবিবুর রহমান বলেন,বিছালী ইউনিয়নের ভূমি অফিস নির্মাণে স্থান নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। ভূমি অফিস ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে নির্মাণের জন্য নবাগত ইউপি চেয়ারম্যান মো. হেমায়েত হুসাইন একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেবার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (রাজস্ব) আহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।