স্টাফ রিপোর্টার
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর যুবলীগ নেতা পলাশ মাহমুদ হ/ত্যার এক সপ্তাহ গত হলেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। মামলার আসা/মীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবী জানিয়েছে তার পরিবার। পরিবারের অভিযোগ আসা/মীরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলা তুলে নিতে হু/মকি দিচ্ছে। গত শনিবার বিকালে পলাশের বাড়ী চরমল্লিকপুর গ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহ/তের স্ত্রী জেরিন আক্তার, মা পলি বেগম, পিতা খোকন শেখ এ দাবী করেন।
এ সময় জেরিন আক্তার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী হ/ত্যায় এক মাসের শিশু সন্তান পিতৃহা/রা এবং আমি অকাল বিধ/বা হয়েছি। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী পিতৃহারা সন্তানের কষ্ট বোঝেন। তাই আমি প্রধান মন্ত্রীর সাথে দেখা করে এ হ/ত্যার বিচার চাইব। পলাশ মাহমুদ উপজেলার চরমল্লিকপুর গ্রামের খোকন শেখের ছেলে এবং উপজেলা যুবলীগের কর্মী এবং লোহাগড়া বাজারের ফল ব্যবসায়ী।
উল্লেখ্য, লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ হাসান ও সজিব মুসল্লীর সাথে পলাশের দীর্ঘদিন যাবৎ রাজনৈতিক দ্ব/ন্দ-সংঘা/ত চলছিল। এছাড়া আসন্ন মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সামনে রেখে এই শ/ত্রুতা চরম আকার ধারন করে। এরই জের ধরে গত সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে পলাশকে আসা/মীরা নৃশং/সভাবে কু/পিয়ে হ/ত্যা করে।
এ ঘটনায় পলাশের মা পলি বেগম বাদী হয়ে মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান ও তার দুই ভাইসহ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীব মুসল্লী, সাবেক সম্পাদক রাশেদ মোল্যাসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞা/ত আরো ৮-৯ জনকে আসা/মী করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে হ/ত্যাকান্ডের ৭ দিন পার হলেও কোন আসামী আটক হয়নি। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হেনা মিলন জানান, আসা/মীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।