নড়াইল পৌরসভায় যত্রতত্র গতিরোধক

9
6
নড়াইল পৌরসভায় যত্রতত্র গতিরোধক
নড়াইল পৌরসভায় যত্রতত্র গতিরোধক

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইল পৌরসভার অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোতে প্রভাবশালীদের চাপে সেখানে সেখানে অপ্রয়োজনীয় গতিরোধক স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে পথচারীরা পড়ছেন বিড়ম্বনায়, ঘটছে দুর্ঘটনা।

জানা যায়, পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের মহিষখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় টু যুব উন্নয়ন সড়কে মাত্র আধা কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে ৬ টি গতিরোধক! যার ভেতর কয়েকটি প্রয়োজনীয় হলেও অধিকাংশই অপ্রয়োজনীয়। এছাড়াও ২ নং ওয়ার্ডের বরাশুলা এতিমখানা রোডে মাত্র ১৫০ মিটার সড়কের ভেতর স্থাপন করা হয়েছে ৪ টি গতিরোধক। যার ২ টি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে হলেও বাকি দুইটি গায়ের জোরে স্থাপন করেছেন স্থানীয় কিছু ব্যক্তি।

আরও দেখা গেছে, নড়াইল পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের আলাদাতপুর এলাকার পাসপোর্ট অফিস সড়কে ১০০ মিটারেরও কম জায়গার ভেতর পরপর তিনটি গতিরোধক স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে নেই কোনো গতিরোধক চিহ্ন। ফলে দূর থেকে টের না পেয়ে গাড়ী চালানোর সময় অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। সেখানকার একজন বাসিন্দা বলেন, রাস্তায় আমাদের ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করবে। তাই আমরা ঠিকাদারকে বলে গতিরোধক দিয়েছি। এছাড়াও পৌরসভার পানি মসজিদ টু পাসপোর্ট অফিস সড়কেও ৩ টি গতিরোধক রয়েছে। যার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হলেও বাকি দুইটি সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়।

আরও দেখা গেছে, নড়াইল পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের ডুমুরতলায় নবনির্মিত জাহাতাব উদ্দিন বেগ সড়কে স্থাপন করা হয়েছে ৩ টি গতিরোধক। যার একটি মসজিদের সামনে হলেও বাকি দুইটি প্রভাবশালীদের বাড়ির সামনে স্থাপন করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসব গতিরোধকের অধিকাংশই যেখানে স্থাপন করা হয়েছে সেখানে নেই কোনো গুরুত্বপূর্ণ মোড় বা স্থাপনা। রাস্তা নির্মাণের সময় স্থানীয় প্রভাবশালীরা গায়ের জোরে ঠিকাদারদের চাপ দিয়ে নিজেদের বাড়ী বা দোকানপাটের সামনে স্থাপন করেছেন এসব অপ্রয়োজনীয় গতিরোধক। তাছাড়া এসব গতিরোধকের গায়ে নেই কোনো চিহ্ন। ফলে রাতের বেলায় পথচারীরা পড়ছেন বিড়ম্বনায়। যত্রতত্র এসব গতিরোধক স্থাপনের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে ছোটখাটো দুর্ঘটনায়ও।

এ বিষয়ে নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা প্রতিবেদককে বলেন, নতুন নির্মাণ করা সড়কগুলোর অনেক জায়গায় অপ্রয়োজনীয় গতিরোধক স্থাপন করা হয়েছে। এটা স্থানীয় কিছু লোকেরা করেছে। যেহেতু এটা করা হয়ে গেছে তাই এখন তো আর ভেঙে দিতে পারছিনা। সেক্ষেত্রে বর্ষা মৌসুম শেষ হলে গতিরোধকগুলোর ওপর আমরা রঙ করে দিবো।

নড়াইলের এক সচেতন নাগরিক জানান, সাধারণ জনগণের চলাচলের রাস্তায় দু’চারজন প্রভাবশালী ব্যক্তি নিজ স্বার্থে যেখানে সেখানে গতিরোধক স্থাপন করতে পারেন না। গাড়ীর গতি সীমিতকরণে গতিরোধকের প্রয়োজন অবশ্যই রয়েছে। তবে, অপরিমাণ গতিরোধক স্থাপন কাম্য নয়। পৌর মেয়রের উচিত অবিলম্বে এসব অপ্রয়োজনীয় গতিরোধক উচ্ছেদ করা এবং গতিরোধক দেয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা।