নড়াইলের পানি শোধানাগারটির যান্ত্রিক ত্রুটি পরিদর্শনে তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী

4
3
নড়াইলের পানি শোধানাগারটির যান্ত্রিক ত্রুটি পরিদর্শনে তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী
নড়াইলের পানি শোধানাগারটির যান্ত্রিক ত্রুটি পরিদর্শনে তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী

স্টাফ রিপোর্টার

খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলা নড়াইল পৌর এলাকায় পানি শোধানাগারের যান্ত্রিক ত্রুটি সরেজমিন পরিদর্শনে আসলেন খুলনা বিভাগীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী মোঃ জামানুর রহমান। সোমবার (৩ মে) দুপুরে পৌরসভার কুরিগ্রাম গো-হাটা এলাকায় অবস্থিত প্লান্টটি পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল পৌর মেয়র আনজুমান আরা, নড়াইল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নির্বাহী প্রকৌশলী এম.এম. আবু সালেহ, নড়াইল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী লক্ষিকান্ত হালদার,সহকারী প্রকৌশলী সুজন আলী প্রমুখ।

জানা গেছে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিঘন্টায় ৩৫০ ঘনমিটার পানি সংশোধনের জন্য উন্নত প্রযুক্তি ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি তৈরী করে। ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নড়াইল পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঐ সময় ৩মাস এটি কোনো রকম চললেও পরে আর চলেনি। দীর্ঘ ১বছর বন্ধ থাকার পর নড়াইল পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র এটি চালুর উদ্যোগ নেন। এ সময় তিনি নড়াইল পৌরবাসীকে সুপেয় পানি খাওয়ানোর আশ্বাস দেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্লান্টের জেনারেটর, মটর, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, পানি ফিল্টার বেডসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশে ত্রুটি রয়েছে এবং অকেজো হয়ে গেছে। এর মধ্যেই ১৬মার্চ কোনোরকম জোড়াতালি দিয়ে প্লান্টটি পূনরায় চালু হয়।

খুলনা বিভাগীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী মোঃ জামানুর রহমান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব প্লান্টের বিভিন্ন যান্ত্রিক সমস্যা দূর করে যাতে নড়াইল পৌরবাসী এর পুরোপুরি সুফল পেতে পারেন সে চেষ্টা করা হবে।

জানা গেছে, এটি পুরোরিভাবে চালু হলে প্রাথমিক অবস্থায় পৌর এলাকার প্রায় ৫ হাজারের বেশী পরিবার বিশুদ্ধ পানি পান পান করতে পারবেন।