নিজে কাঁদলেন, অপরকেও কাঁদালেন; নড়াইল পৌরসভার দায়িত্ব বুঝে নিলেন নব মেয়র

0
44
নিজে কাঁদলেন, অপরকেও কাঁদালেন; নড়াইল পৌরসভার দায়িত্ব বুঝে নিলেন মেয়র
নিজে কাঁদলেন, অপরকেও কাঁদালেন; নড়াইল পৌরসভার দায়িত্ব বুঝে নিলেন মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার

নিজে কাঁদলেন এবং অপরকেও কাঁদালেন। এ কান্না কোনো ব্যথা বা কাওকে হারানোর নয়, এ কান্না ছিল একদিকে আনন্দের অন্যদিকে পৌরবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জের। আওয়ামী লীগ মনোনীত নড়াইল পৌরসভার নব নির্বাচিত খুলনা বিভাগের একমাত্র নারী মেয়র আঞ্জুমান আরা রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নড়াইল শিল্পকলা একাডেমী অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে পৌর পরিষদের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অডিটোরিয়াম ভরা মানুষের সামনে তিনি কেঁদে ফেলেন। এ সময় আমন্ত্রিত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষে ঠাসা অডিটোরিয়ামে নিরবতা নেমে আসে।

প্রথম শ্রেনির নড়াইল পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ রেজাউল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন, অতিরক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ সুবাস চন্দ্র বোস, জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ ওয়ালিউল্লাহ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা সেলিম, নড়াইল-২ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মুর্তজার পিতা গোলা মুর্তজা স্বপন, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির টুকু, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, নারী নেত্রী রওশনারা কবির লিলি প্রমুখ।

দায়িত্ব গ্রহনের আগে নবি নির্বাচিত মেয়র এক বক্তব্যে তিনি নড়াইল পৌরসভাকে জবাবহিতিতামূলক, যানজটমুক্ত, দুর্নীতি ও মা/দকমুক্ত একটি মডেল পৌরসভা গড়ে তোলার প্রতুশ্রতি দেন। ছবি সংযুক্ত।
নড়াইলের অগ্নি কন্যাখ্যাত আঞ্জুমান আরা ছাত্রবস্থায় বাংলাদেশের ৫ম প্রাচীনতম শতবর্ষী নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি এবং জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। পরে এম.এ পাশ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। এখানে তিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির এশাধিকবার সভাপতি ছাড়াও কেন্দ্রীয় শিক্ষক সমিতির নেতা ছিলেন। গত ৬ বছর শিক্ষকতা ছেড়ে মহিলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগদান করেন।

জানা গেছে, ১৯৭৪ সালে এ পৌরসভায় প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি গাজী আলী করিম। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ২২বর্গ কিলোমিটারের এই পৌরসভায় এ পর্যন্ত ২০১১ সাল ছাড়া সমস্ত পৌর নির্বাচনেই আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করেন। সর্বশেষ গত ৩০ জানুয়ারী তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন।