১৭ জানুয়ারী নড়াইলের তে-ভাগা আন্দোলনের অগ্রপথিক অমল সেনের অষ্টাদশ মৃত্যুবার্ষিকী

0
19
১৭ জানুয়ারি নড়াইলের তে-ভাগা আন্দোলনের অগ্রপথিক অমল সেনের মৃত্যুবার্ষিকী
কমরেড অমল সেন

স্টাফ রিপোর্টার

নড়াইলের তে-ভাগা আন্দোলনের অগ্রপথিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সভাপতি কমরেড অমল সেনের রোববার (১৭ জানুয়ারি) অষ্টাদশ মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে নড়াইল যশোরের সীমান্তবর্তী বাঁকড়ীতে দুদিনব্যাপী অমল সেনের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। ‘কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটি’র উদ্যোগে। রোববার দুপুরে কমরেড অমল সেনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন‘কমরেড অমল সেন স্মৃতিরক্ষা কমিটি’।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সাতক্ষীরা-১ আসনের এমপি এ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ। দ্বিতীয় দিন ১৮ জানুয়ারী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন ও আলোচনা সভার আয়োজন করবে। কোভিড-১৯ বাস্তবতায় এবারের আয়োজন সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে জানালেন ‘কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটি’র সম্পাদক অধ্যাপক রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস।

কমরেড অমল সেন ১৯১৪ সালের ১৯ শে জুলাই নড়াইল সদরের আউড়িয়া ইউনিয়নের আউড়িয়া গ্রামে রায় পরিবারে মামা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন নড়াইলের আফরার জমিদার পরিবারেরর সন্তান। নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় বৃটিশবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী ‘অনুশীলন’ গ্রুপের সঙ্গে সম্পর্কিত হন। দৌলতপুর বিএল কলেজে গনিতশাস্ত্রে সম্মান শ্রেণীতে অধ্যয়নরত অবস্থায় মার্কসবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হন এবং পড়ালেখা অসমাপ্ত রেখে বাড়িতে ফিরে এসে কমিউনিস্ট আন্দেলন করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।

তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করতেন মানব জীবনের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি হতে পারে মানব সমাজের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করা তথা শ্রমজীবী মানুষের শোষণ মুক্তির লড়াইতে অংশগ্রহণ করা। তাই তিনি পরিবারের জমিদারীর উত্তরাধিকার পরিত্যাগ করে বাড়ি ছেড়ে এক কৃষক পরিবারে এসে আশ্রয় নেন আর আমৃত্যু নিজেকে কৃষক, শ্রমিক মেহনতী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিয়োজিত রাখেন।

১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর তিনটি পার্টি ঐক্যবদ্ধ হয়ে লেনিনবাদী কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হলে অমল সেন সে পার্টির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে ৬টি কমিউনিস্ট পার্টি সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসাবেও কমরেড সেন নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, সাম্যবাদী দল ও ওয়ার্কার্স পার্টির ঐক্যের মাধ্যমে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি হন তিনি। ২০০৩ সালের ১৭জানুয়ারি বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন আজীবন বিপ্লবী কমরেড অমল সেন।