ম*’ন ভা*লো নে*ই ৭১ মুক্তিযো*দ্ধাদের আ*শ্রয়দা*নকারী জাহানারা বেগমের

2
18
ম*'ন ভা*লো নে*ই ৭১ মুক্তিযো*দ্ধাদের আ*শ্রয়দা*নকারী জাহানারা বেগমের
ম*'ন ভা*লো নে*ই ৭১ মুক্তিযো*দ্ধাদের আ*শ্রয়দা*নকারী জাহানারা বেগমের

আবু আব্দুল্লাহ

ম*ন ভা*লো নেই ৭১ মু*ক্তিযো*দ্ধাদের আ*শ্রয়দা*নকা*রী জাহানারা বেগমের। করো*নায় স্ব*প্ন ভে*ঙ্গে*ছে তার। নড়াইলের লোহাগড়ার রাজুপুর গ্রামের (পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড) *মৃ*ত পাচু শেখের *মে*য়ে ও *মৃ*ত শেখ আফসার উদ্দীনের স*হধ*র্মিণী জাহানারা বেগম (৭৬)। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে অপে*ক্ষায় থাকেন না*তী-না*তনীদের জন্য। তার ৭ (সাত) ছে*লে *মে*য়ে না*তী-না*তনীসহ পরিবা*রে রয়েছে ৩৮জন সদস্য। তারা কেউ ঢাকা, কেউ খুলনা, কেউ যশোহর ব*সবা*স করেন। ডিসেম্বর মাসে পরী*ক্ষা শে*ষে না*তী-না*তনীরা ছু*টে আসে দা*দীর কাছে মু*ক্তিযু*দ্ধের কাহিনী শু*নতে। দা*দীও অপে*ক্ষায় থাকেন তাদের জন্য।

গত (২০১৯ সালে) বছর উ*ঠান বৈঠকে মু*ক্তিযু*দ্ধের কাহি*নী শো*নার পর না*তী না*তনীরা তার কাছে বা*য়না ধ*রে ছিল, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বাড়ি এসে তারা মু*ক্তিযু*দ্ধে ডা*ক দে*ওয়া সেই ম*হানা*য়ক জা*তীর পি*তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স*মাধিস্থল টুঙ্গিপাড়া যা*বে। বঙ্গবন্ধুকে তারা না দে*খ*লেও তার শ্র*দ্ধায় সমা*ধিতে জি*য়ার*ত করতে যাবে সকলে। যদিও পরিবা*রের ব*য়োজ্যে*ষ্ঠরা অনেকবার জা*তীর পি*তার সমা*ধিতে জি*য়ারত করেছেন । কিন্তু ছো*টদের অনেকেরই জি*য়ারত করা হয়নি। তাই এ বছর ডিসেম্বরে তাদের সকলকে নিয়ে গাড়ি ভা*ড়া করে বঙ্গবন্ধুর সমা*ধিস্থল টু*ঙ্গিপা*ড়ায় বঙ্গবন্ধুর মা*জার জি*য়ারত করার ই*চ্ছা ছিল। কিন্তু বা*দ সে*ধেছে ম*হা*মা*রী করো*না। কোন না*তি না*তনী করো*নার কারনে গ্রামে আ*সছে না এবার। তাই করো*নায় স্ব*প্ন ভে*ঙ্গেছে জাহানারা বেগমের।

এ প্রতিবেদকের সাথে স্ব*প্ন ভা*ঙ্গার বিষয়ে কথা হয় জাহানারা বেগমের, তিনি জা*নান বয়স হয়েছে, জানিনা আর ক’দিন বাঁ*চবো। ই*চ্ছা ছিল প্রতিবা*রের ন্যায় এ বছরও না*তী-না*তনীদের মু*ক্তিযু*দ্ধের প্রত্য*ক্ষদ*র্শী হিসেবে সঠিক কাহি*নী শো*নাব এবং জাতীর পিতার মা*জারে সবাইকে নিয়ে যাব। কিন্তু করো*নায় আমার সে স্ব*প্ন ভে*ঙ্গে দিয়েছে। আমাদের মত যারা মু*ক্তিযু*দ্ধের প্রত্য*ক্ষদ*র্শীরা আছেন, তাদের প্রত্যেকের উ*চিৎ ঘ*রে ঘ*রে পরবর্তী প্রজ*ন্মের কাছে মু*ক্তিযু*দ্ধের সঠিক ইতিহাস তু*লে ধ*রা। কারন পাকিস্তানী প্রে*তা*ত্মারা এখনো আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃ*তি করার ষ*ড়য*ন্ত্রে লি*প্ত রয়েছে। তিনি তার পরিবা*রের প্রত্যেক সদস্যকে মু*ক্তিযু*দ্ধের ইতিহাস বিকৃ*তি ও ষ*ড়য*ন্ত্রকা*রীদের বিরু*দ্ধে সজা*গ থাকার আহবান জানান।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে এই নি*র্ভীক না*রী ১৫/২০ জনের একটি মু*ক্তিযো*দ্ধা দ*লকে জী*বনের ঝুঁ*কি নিয়ে নি*জের বা*ড়িতে আ*শ্রয়দা*ন ও তাদের নিয়মিত খা*বা*র দাবা*র ব্যবস্থা করতেন। আবার তাদের নিরাপ*ত্তার জন্য নিজের ছে*লেদের বাড়ির বাইরে পা*হারায় রাখতেন।

জাহানারা বেগমের বাড়ি আ*শ্রয় গ্রহ*নকারীদের পৌরসভার গোপীনাথপুর গ্রামের সা*বেক উপজেলা মু*ক্তিযো*দ্ধা কমা*ন্ডার রেজাউল ইসলাম খান বলেন, রাজুপুর গ্রামের জাহানারা বেগম (আমরা আ*পা* বলতাম) মু*ক্তিযু*দ্ধের সময় যদি আমাদের থা*কা খা*ওয়ার এবং নিরাপ*ত্তার ব্য*বস্থা না করতেন তাহলে আমাদের বেঁ*চে থাকা খুবই ক*ষ্টক*র হ*ত। আমরা ১৫/২০ জনের একটি দ*ল ছিলাম। যাদের বাড়ি উপজেলার লক্ষীপাশা, গোপীনাথপুর, কোলা দিঘলিয়া, কুমড়ি, তা*লবা*ড়িয়া, চাচই, ম*রিচপা*শাসহ বিভিন্ন গ্রামে ছিল। এখনো তাদের মধ্যে অনেকে বেঁ*চে আছেন, আবার অনেকে *মা*রা গেছেন। তার ঋ*ণ (জাহানারা আপার) আমরা কোনদিন শো*ধ করতে পার*বো না। জাহানার আপার ভিতর প্রতিদা*নের কোন আ*শা না থাকায় তিনি মু*ক্তিযো*দ্ধা হওয়ার জন্য কোন দৌঁ*ড়ঝা*প করেননি। তার ম*ত বী*রাঙ্গ*নার মু*ক্তিযো*দ্ধার তালিকা ভু*ক্ত হওয়া উ*চিৎ বলে আমি মনে করি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার অবদানের স্বীকৃতির জন্য জোর সুপা*রিশ জানাই।