চালকরা মা’দক সে’বন করে কি-না তা জানতে পরী’ক্ষা করতে হবেঃ প্রধানমন্ত্রী

0
11
চালকরা মা'দক সে'বন করে কি-না তা জানতে পরীক্ষা করতে হবেঃ প্রধানমন্ত্রী
চালকরা মা'দক সে'বন করে কি-না তা জানতে পরী'ক্ষা করতে হবেঃ প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

সড়ক দু’র্ঘটনা রো’ধে চালকরা মা’দক সে’বন করে কি-না তা জানতে ‘ডো’প টে’স্ট’ করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতাকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বিষয়টা লক্ষ্য রাখতে হবে—যারা গাড়ি চালাচ্ছে, তারা মা’দক সেব’ন করে কি-না? তাদের ডো’প টে’স্টের মাধ্যমে তা পরী’ক্ষা করা দরকার। প্রত্যেকটা চালকের এ পরী’ক্ষাটা একান্তভাবে অপ’রিহারর্য। এ পরী’ক্ষাটা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আরেকটা প্রব’ণতা আছে আমাদের গাড়ির ড্রাইভারদের, ওভা’রটে’ক করা। একটা গাড়ি চলে গেছে এটাকে ওভা’রটে’ক করতে হবে। তখন হুঁ’শ থাকে না, বেহুঁ’শ হয়ে ওভা’রটেক করতে গিয়ে অ্যাক’সি’ডেন্ট করে। এই প্রবণ’তাটাও ব’ন্ধ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ড্রাইভারদের ভালোভাবে ট্রেনিং দেয়া, লাইসে’ন্স দেয়ার সময় ভালো পরী’ক্ষা-নি’রীক্ষা করা যে—সত্যিই ভালো ড্রাইভিং জানে কি-না। টাকা দিয়ে যেন কেউ ড্রাইভিং লাইসে’ন্স নিতে না পারে সেটা দেখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘গাড়ির ফি’টনে’স দরকার, সেগুলো বিশেষভাবে পরী’ক্ষা-নিরী’ক্ষা করা, ড্রাইভারদের বিশ্রা’ম নিশ্চিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টর ও সরকারি সেক্টর সবাইকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ড্রাইভার বিশ্রা’ম নিলো কি-না, খা’বার খেলো কি-না, এ বিষয়টা দেখতে হবে।’

‘ট্রাফিক আ’ইন মে’নে চলা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। চালকদের পাশাপাশি পথচারীদেরও সচে’তন থাকতে হবে। সেখানে সচে’তনতার খুব অভা’ব। বারবার বলছি এখনো বলছি, স্কুলজীবন থেকে ছোট বা’চ্চাদের থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জায়গায় এই ট্রাফিক আ’ইন সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া, সচে’তন করা প্রয়োজন। প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদা’লত সব জায়গায় ওই ট্রাফিক রু’লের পোস্টার লাগিয়ে রাখা, যেন মানুষ সচে’তন হয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দু’র্ঘটনা হলে ড্রাইভারকে মা’রতে মা’রতে মে’রে ফেলা…এর ফলাফলটা কী দাঁড়াচ্ছে? একজন হয়তো আবার ধা’ক্কা না দিলেও বেঁ’চে যেত। কিন্তু ড্রাইভার মা’রের ভ’য়ে প্রা’ণের ভ’য়ে তার ওপর দিয়ে চা’লিয়ে গে’ল। এর ফলে লোকটি মা’রা গেল।’

‘সেজন্য আমি বারবার জনগণকে সচে’তন করেছি, এখন আবারও বলবো, কোনো অ্যা’কসি’ডেন্ট হলে, কেউ ড্রাইভারের গা’য়ে হা’ত দে’বেন না, কেউ গাড়ি আ’ক্র’মণ করবেন না। বরং যে প’ড়ে গে’ছে তাকে উ’দ্ধা’র করে হাসপাতা’লে নিয়ে যান, ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহা’য়তা নিন। আমাদের পুলিশের সার্ভিস এখন খুবই ভালো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অ্যা’কসি’ডেন্ট হলে যদি ড্রাইভারের দো’ষ হয় তাহলে আ’ইন আছে। আ’ইন তার ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু কেউ আ’ইন তার হা’তে তু’লে নে’বেন না। এ আ’ইন হা’তে তু’লে নে’য়ার কা’রণে অনেক মানুষ কিন্তু মা’রা যায়। কারণ ড্রাইভার সা’হস পায় না গাড়িটা থা’মিয়ে ওই লোকটাকে উ’দ্ধা’র করতে। তার ভ’য় হয় সে যদি গাড়ি থা’মাতে চায় বা সেই লোকটাকে উ’দ্ধা’র করতে চায় তাহলে সে পাবলিকের হা’তে মা’র খা’বে।’

তিনি বলেন, ‘এই মান’সিকতা পরি’হার করতে হবে। আমাদের যারা নিরাপদ সড়ক নিয়ে আন্দোলন করে, তাদের আমি অনুরোধ করব, এটা একটু ব্যাপ’কভাবে প্রচার করেন। বিচা’রের জন্য তো আ’ইন আছে আ’দালত আছে। সেখানে বি’চার হবে। কাজেই কেউ আপনারা নিজের হাতে আই’ন তু’লে নে’বেন না।’