অব’হেলিত কৃষ্ণবর্ণ

0
34
অব'হেলিত কৃষ্ণবর্ণ
অব'হেলিত কৃষ্ণবর্ণ

কবিতা- শরিফুল স্মরণ

প্রিয়,
জানো?
সেই সন্ধ্যা থেকে চাঁদটা বড়’শি ফেলে আক্ষে’পে টোপটা বারবার উঠিয়ে নিচ্ছে।

আমি ঠাঁই অন্বেষণে মগ্ন।
কখন আলোটা তৃপ্তির পূর্ণচ্ছেদ ঘটাবে।
গিলবো,
অন্তরে প্রীতির মৃদু শিহরণ উজ্জীবিত হবে।

কিন্তু,
মেঘগুলোর উন্মাদনা বেড়েই চলছে,
যেন আজ না দৌড়ালে খোরাক মিলবে না।
অনেক্ষণ গত হলে ভাসমান বারিদের চালাকি বুদ্ধিতে স্থির হলো।

সাদাটে মেঘেরা বাহারি ঢেউ তুলে সৌন্দর্যবর্ধনে সম্মতির রেখায় অবস্থান করছে।
ধূসর হয়েও ঠিক দুরত্ব বজায় রেখে বিকাশে অনুপ্রাণিত করতে ভুল করছে না।

ব্যাঘা*তটা এখানে,
এক টুকরো কালো খন্ড মেঘ নিশ্চল।
সম্পুর্ণ আলোটা গিলে খেয়ে হজম করে তবেই স্থান ত্যাগ করবে।

আমিও পণ করেছি;
স্বচ্ছ জোছনায় স্নান করবো।
লোমের গোড়ায় গোড়ায় আলোর জল ঢেলে সাদা হবো।
ঘষবো, মাজবো।
ধবধবে সাদা হবো।
শ্যামবর্ণের গা খানির দীর্ঘ অবজ্ঞা আজ সমাপ্তিতে পরিপক্ক হবে।
তোমার চক্ষুলজ্জার অবসান হবে।

গায়ের রঙটা মাদা হওয়ায় জীবনভর কারণে অকারণে যে তু’চ্ছতা’চ্ছিল্যকে আদর করেছি,
সে স্নেহহীন হয়ে পড়বে!
হোক না;
তোমার দৃষ্টিরেখায় স্থান দখলে ওতেও আামার দ্বিধাবোধ নেই।

প্রিয়,
বর্ষার আকাশে পূর্ণিমা জেগেছে;
ভরা পূর্ণিমা।
কিন্তু,
কৃষ্ণ কালো বর্ণটির একচুলও পরিবর্তন হয়নি।

আচ্ছা প্রিয়,
সাদা কালোর বৈষ*ম্যে দেহের গঠনপ্রণালীতে কোন তফাত হয়?
স্বাদের ভিন্নতা থাকে?
তৃষ্ণার অতৃপ্তি প্রকাশ পায়?
প্রাণে বি’ষাক্ত হু’লের ব্য*থা আলতু পরশে স্থায়ীভাবে নিশ্চি’হ্ন করতে সক্ষম হয়?